৭ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভূমিকম্প: উৎপত্তিস্থল নিয়ে আবহাওয়া অফিস ও ইউএসজিএসের ভিন্ন তথ্য

১ দিন আগে
মাত্র ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশ। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালের পর সন্ধ্যাতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এই ভূমিকম্পের মাত্রা এবং উৎপত্তিস্থল নিয়ে দুই রকমের তথ্য মিলেছে।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে এ কম্পন অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
 

সংস্থাটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩ এবং উৎপত্তিস্থল নরসিংদী থেকে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

 

আরও পড়ুন: রাজধানীতে আবারও ভূমিকম্প


এদিকে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। উৎপত্তিস্থলের বিষয়ে বলা হয়েছে, ঢাকা থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তর উত্তর পূর্বে।


এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস বলছে, সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। উৎপত্তিস্থল ঢাকার বাড্ডা এলাকা। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এটি একটি মৃদু শ্রেণির ভূমিকম্প।

 

এর আগে এদিন সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

 

বাইপাইলে রিখটার স্কেলে ৩.৩ মাত্রায় অনুভূত হওয়া ভূমিকম্প শুক্রবার হওয়া কম্পনের আফটার শক বলে দুপুরে নিশ্চিত করেন ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবায়েত কবির। 

 

তিনি জানান, আশুলিয়ায় অনুভূত ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর পলাশে। এটি শুক্রবারের মাধবদীতে অনুভূত হওয়া কম্পনের আফটার শক।

 

আরও পড়ুন: ইউএসজিএস শুক্রবারের ভূমিকম্প অনুভব করলো ১৪ কোটি মানুষ

 

রুবায়েত কবির আরও জানান, আফটার শক ১০-২০ কিলো দূরেও হতে পারে। সেক্ষেত্রে গতকালের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছেই হয়েছে এটি।

 

সামনে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কার কথা জানিয়ে রুবায়েত বলেন, ‘গত ১০০ বছরে ঢাকায় এমন ভূমিকম্প হয়নি। যেটি শুক্রবার হয়েছে। আমরা বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।’

 

আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেশের কোন অঞ্চল বেশি ঝুঁকিতে, জানালো আবহাওয়া অধিদফতর

 

গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। নরসিংদীর মাধবদীতে উৎপত্তি হওয়া এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৭। এতে ১০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন