ধুলো আর আগাছার দখলে কোটি টাকার পানি শোধনাগার। চালু না থাকায় সুইচ, মোটর, ফিলটার, পাইপ, রিজার্ভ ট্যাংক, জেনারেটর ও ট্রান্সফরমারসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মরিচা ধরে অকেজোর পথে। ৬ বছর ধরে এভাবে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঝিনাইদহের মহেশপুরের আধুনিক ভূগর্ভস্থ পানি শোধনাগারটি।
২০১৭ সালে ৬ জুন আয়রন ও আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের জন্য প্ল্যান্ট স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয় মহেশপুর পৌরসভা। তবে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরও সুবিধা থেকে বঞ্চিত ৭০ হাজার বাসিন্দা। প্রকল্পটি চালু না থাকায় বিশুদ্ধ পানির জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে টিউবওয়েলের ওপর।
তবে এসব টিউবওয়েলের পানিতে রয়েছে অতিরিক্ত আয়রন ও আর্সেনিক। এই পানি পান করায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত পানি শোধনাগারটি সংস্কার ও চালু করতে হবে। এতে যেমন বিশুদ্ধ পানির অভাব ঘুচবে, তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকেও রক্ষা পাবেন পৌরবাসী।
আরও পড়ুন: ড্রেনের ভেতর দিয়ে পানি সরবরাহের পাইপলাইন, নাটোর পৌরসভায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘এই প্লান্টটা চালু থাকলে আমরা বিশুদ্ধ পানি পেতাম। এখন টিউবওয়েলের পানি খেয়ে অনেকেই চর্মরোগে ভুগছে।’
আরেক বাসিন্দা শারমিন আক্তার বলেন, ‘বহুদিন ধরে পৌরসভার পানি পাচ্ছি না। ঘরোয়া ফিল্টারেও আয়রনের দাগ পড়ে যায়। যত দ্রুত সম্ভব প্লান্টটি চালু করা দরকার।’
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদ্যুৎ বিল ব্যয় মেটাতে না পারায় বন্ধ হয়ে আছে পানি শোধনাগারটি। সক্ষমতা হলে পুনরায় চালু করা হবে। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সোহেল রানা বলেন, ‘পানি শোধনাগারটি চালু রাখতে প্রতি মাসে বিপুল অর্থ প্রয়োজন হয়। আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী ভবিষ্যতে পুনরায় এটি সচল করার উদ্যোগ নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে ২০১৯ সালে ৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পানি শোধনাগারটি নির্মাণ করা হয়।
]]>