বিপিএলের নিলাম ৫০০-এর বেশি বিদেশি ক্রিকেটার আবেদন করেছেন। এর মধ্যে থেকে ২৫০ জন ক্রিকেটারকে বাছাই করেছে বিসিবি। সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু। এদিকে ১৯ ডিসেম্বর বিপিএল শুরুর ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি, ফাইনাল হবে ১৯ জানুয়ারি। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।
আর্থিক সমস্যার কারণে গত আসরেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বিপিএলকে। সে বিষয় মাথায় রেখেই এবারের আসরে আয়োজন করছে বিসিবি। ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, সবাই আর্থিক গ্যারান্টিও নিশ্চিত করেছে।
নিলামের আগে সর্বনিম্ন ১ জন ও সর্বোচ্চ ২ জন বিদেশি ক্রিকেটারকে সরাসরি সাইনিংয়ের মাধ্যমে দলে ভেড়াতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। আর নিলাম থেকে অন্তত ২ জন বিদেশিকে নিতে হবে। দেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ২ জনকে সরাসরি সাইনিংয়ের মাধ্যমে দলে ভেড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এছাড়া একাদশে সর্বনিম্ন ২ জন ও সর্বোচ্চ ৪ জন বিদেশি ক্রিকেটারকে রাখতে পারবে দল।
আরও পড়ুন: বিপিএল খেলতে ৫০০ বিদেশির আবেদন, নিলামের ড্রাফটে জায়গা পেলেন ২৫০ জন
৬ দলের ব্যাংক গ্যারান্টির বিষয়ে ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘১১টার ২টা পে-অর্ডার বা কিছু না দেয়ায় বাদ পড়েছিলো। ৯টার মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৫টা (দল) কনফার্ম হলো। কোয়াবের রিকুয়েস্ট ছিলো একটা দল বাড়ানোর। পরে আবার ঐ কোম্পানিগুলোকে ই-মেইল করা হয়। ক্যাশ, পে-অর্ডার, চেকের মাধ্যমে একটা দল বাড়ানো হয়েছে। লোকাল প্লেয়ারদের বিষয়টা কনসিডার করা হয়েছে। ৫টা টিম হলে প্রতিদিন ২ ম্যাচ খেলানো যায়না। দলগুলোর কোনো ইরেগুলারিটি দেখলে বিসিবি টিম চালাতে প্রস্তুত। যে-কোনো সময় প্রবলেম দেখলে টেকওভার করা হবে।’
নিয়ম বদলানো যেনো বিপিএলের এক ধরনের নিয়মের মধ্যেই পড়ে গেছে। যে কারণে প্রতি আসরেই বদলানো হয় নিয়ম। তবে নিয়ম যা-ই হোক না কেন, আর্থিক নিশ্চয়তা ছাড়া কেউ মাঠ ছাড়তে পারবে না বলে জানিয়েছেন মিঠু। ‘যেভাবেই হোক, আর্থিক নিশ্চয়তা ছাড়া কেউ মাঠ ছাড়তে পারবে না।’
জানা গেছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকা পেয়েছে। তবে কয়টা ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে টাকা পেয়েছে, সে ব্যাপারে সরাসরি কোনো উত্তর দেননি ইফতেখার রহমান মিঠু। ‘চেক বাউন্স করলে টেকওভার করা হবে। আর টাকা না পেলে বলতাম যে বিপিএল পিছিয়ে দেন।’
কয়টা টিমের কাছ থেকে সব কিছু পেয়েছেন, এ প্রশ্নের উত্তরে ইফতেখার রহমান মিঠুকে বলেন, ‘৪টা টিমের কাছ থেকে সব পেয়েছি। অডিট ফার্ম দিয়ে চেক করা হয়েছ। সব মিলিয়ে চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু আমরা ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়া দিচ্ছিনা। প্লেয়ারদের ব্যাপারেও আদের তদন্ত চলছে। রেড মার্ক থাকলে তাদের বাদ দিতে বলবো।’
আরও পড়ুন: বিপিএলে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি নোয়াখালী এক্সপ্রেস
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিল আইএমজি। তিন বছরের জন্য আইপিএলে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। চুক্তিটা কার্যকর হবে পরের বিপিএল থেকে। যার ফলে আগামী বিপিএলের জন্য তাদের সঙ্গে খণ্ডকালীন চুক্তি করতে চেয়েছিল বিসিবি। যদিও সেটা পুরোপুরি হচ্ছে না। কারণ ১৯ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া বিপিএলে বিসিবির সঙ্গে কাজ করতে দেখা যাবে না আইএমজিকে। তবে এ ব্যাপারে মিঠু বলেন, ‘শিগগিরই ৩ বছরের চুক্তি হবে। তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে, কেনো কাগজ-পত্র প্রসেস করতে দেরি হচ্ছে।’
ম্যাচ ফিক্সিং অ্যালিগেশন যাদের বিরুদ্ধে, তাদের পানিশমেন্ট দেওয়ার সাধ্য বিসিবির নেই? এ প্রশ্নের জবাবেও পরিষ্কার উত্তর মেলেনি মিঠুর কাছ থেকে। ‘এর উত্তর ক্লিয়ারলি নাই, ঐ লিস্ট আমার কাছে নাই। সেখানে কিছু অফিসিয়াল ইনভলভড। প্লেয়ারদের ব্যাপারটা ক্রিটিক্যাল। আমার হাতে থাকলে ক্লিয়ারলি বলতে পারতাম।’
কোনো ক্রিকেটার রেড মার্কে আছে কি না, সে ব্যাপারেও পরিষ্কার করে বলেন নি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এই সদস্য সচিব। ‘যেহেতু জানি কমপ্লিকেশন আছে, তাদের পেছনে নজরদারি থাকবে।’
]]>
২ সপ্তাহ আগে
২






Bengali (BD) ·
English (US) ·