বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আদালতে হাজির হওয়া এই তিন নিয়োগকর্তা অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ অনুসারে বিদেশি অভিবাসীদের পাশাপাশি স্থানীয় নাগরিকরাও যদি দোষী প্রমাণিত হন। তবে তারাও কোনোভাবেই শাস্তি থেকে রেহাই পাবেন না।
দণ্ডপ্রাপ্ত নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর প্রথম ঘটনায় পেতালিং জায়া কমার্শিয়াল সেন্টারের একজন রেস্তোরাঁ মালিক দুজন ইন্দোনেশীয়কে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হন এবং তাকে ১০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা করা হয়।
দ্বিতীয় ঘটনায় সুবাং জায়ার একটি হোটেলের মালিক দুজন বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে কাজে লাগানোর জন্য আশ্রয় দেয়ায় তাকে ১০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা করা হয়েছে।
তৃতীয় ঘটনায় বান্দার সানওয়ের একটি ভবনে তিনজন শ্রীলঙ্কান নাগরিককে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত তৃতীয় নিয়োগকর্তা দোষ স্বীকার করলে তাকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় নারীদের শৌচাগারে ঢুকে পড়ায় বাংলাদেশি যুবক আটক
খাইরুল আমিনুস জানান, এই তিন নিয়োগকর্তাকে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর ধারা ৫৫ই এর অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী সুরক্ষিত প্রতিটি কর্মীর জন্য কমপক্ষে ৫ হাজার রিঙ্গিত থেকে ৩০ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, বিদেশি কর্মীদের অবৈধভাবে নিয়োগ বা আশ্রয় দেয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে নিয়োগকর্তাদের জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে ১২ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে অথবা উভয় শাস্তিই একসঙ্গে দেয়া যেতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে বিশেষ করে নিয়োগকর্তা ও ভবন মালিকদের প্রতি কঠোরভাবে সতর্কবার্তা দিয়েছে। তারা যেন কোনো অবস্থাতেই অবৈধ বিদেশি কর্মীদের কাছে বাসা ভাড়া না দেন।
আরও পড়ুন: কুয়ালালামপুরে রেস্তোরাঁয় অভিযান: ৮৬ বাংলাদেশিসহ আটক ১০১
নিয়োগকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি কর্মীর কাছেই তাদের বৈধ ভ্রমণ নথি রয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সকলকে কঠোরভাবে সতর্ক করেন।
]]>
১৩ ঘন্টা আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·