মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় চত্বরে জেলার আট উপজেলা থেকে আগত স্বাস্থ্য সহকারীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
‘বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন, যশোর’ ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা মাথায় মনি পতাকা ও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। অথচ দেশের রোগ প্রতিরোধ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় স্বাস্থ্য সহকারীদের ভূমিকা অপরিসীম।
স্বাস্থ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. সকল স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শককে প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা।
২. চাকরিতে ১৪তম গ্রেড প্রদান এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা নিশ্চিত করা।
৩. পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।
আরও পড়ুন: জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে ফেনীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি
৪. বেতন স্কেল পুনর্নির্ধারণকালে প্রাপ্ত টাইম স্কেল ও উচ্চতর স্কেল অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা সম্পন্নকারীদের স্নাতক সমমানের স্বীকৃতি দেওয়া।
৬. নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের যশোর জেলা সভাপতি মহিদুল ইসলাম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, অর্থ সম্পাদক হারুন অর রশিদ এবং উপদেষ্টা আসাদুর রহমান ও শাহনাজ পারভীন।
সভাপতি মহিদুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের সকল আন্তর্জাতিক সাফল্যের পেছনে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবদান রয়েছে। তবুও এখনও পর্যন্ত তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। বারবার প্রতিশ্রুতি এলেও বাস্তবায়ন হয়নি। এখন সময় এসেছে বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার।’
বক্তারা অবিলম্বে দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান এবং বলেন, দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।