জুলাইয়ে কোন খাতে রফতানি আয় কত?

৪ ঘন্টা আগে
জুলাইয়ে যেখানে ৪০০ কোটি ডলার রফতানি আয় ঘরে তুলেছে তৈরি পোশাক, সেখানে মাত্র ১৩ কোটি ডলার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চামড়া শিল্প। আর নামমাত্র আয় করে বিশ্ববাজারে খুঁড়িয়ে চলছে পাট, প্লাস্টিক, হোম টেক্সটাইল। এদিকে, স্বাধীনতার ৫ দশক পর যেন বিশ্ববাজারে সবে পথচলা শুরু করেছে সম্ভাবনার বাইসাইকেল, ওষুধ আর আসবাবপত্র শিল্প। রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্যহীনতার কারণ হিসেবে পোশাক শিল্পের ওপর বেশি নির্ভরতাকে দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদরা। আর রফতানি সহায়ক কাঁচামাল আমদানি নীতির অভাবকে সামনে আনছেন উদ্যোক্তারা।

বছর ব্যবধানে সাড়ে ২৪ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি নিয়ে গত জুলাইয়ে ৩৯৬ কোটি ২৭ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করেছে তৈরি পোশাক খাত। যা মোট রফতানির ৮৩ শতাংশ। পোশাক শিল্পের রফতানি আয় যখন ছুঁই ছুঁই করছে ৪০০ কোটি ডলার। তখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চামড়া শিল্পের রফতানি আয় মাত্র ১২ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।

 

তৈরি পোশাক ও চামড়ার পর আর কোনো খাতের রফতানি আয় পার হয়নি ১০ কোটি ডলারের গণ্ডি। ৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে হোম টেক্সটাইল। ৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার রফতানি আয় ঘরে তুলেছে চতুর্থ অবস্থানে থাকা প্রকৌশল পণ্য। ৫ কোটি ৫৪ লাখ ডলার নিয়ে ৫ম অবস্থানে রয়েছে পাটশিল্প।

 

রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা রফতানি পণ্যে যথেষ্ট পরিমাণ বৈচিত্র্য আনতে পারিনি। পাশাপাশি অতিমাত্রায় তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভর করে ফেলেছি।

 

আরও পড়ুন: জুলাইয়ে দেশের রফতানি আয় বেড়েছে ২৪.৯০ শতাংশ

 

জুলাইয়ের রফতানি আয়ের হিসাবে ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে চামড়ার জুতা-স্যান্ডেল বাদে অন্যান্য পাদুকা শিল্প। তুলা ও তুলার সুতা-কাপড় রফতানি থেকে এসেছে ৭ম শীর্ষ রফতানি আয়।

 

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘বড় সমস্যা হচ্ছে এর মধ্যে স্থিতিশীলতা নেই। কোনো মাসে রপ্তানি আয় হঠাৎ অনেক বেড়ে যাচ্ছে, আবার কোনো মাসে অনেক কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ বাজারটা ধরে রাখা যাচ্ছে না।’

 

প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের বিশ্ববাজারে গত জুলাই মাসে মাত্র ৪০ লাখ ডলার রফতানি আয় ঘরে তুলেছে এবারের বর্ষপণ্য আসবাবপত্র। উদ্যোক্তারা বলছেন, রফতানি সহায়ক, কাঁচামাল আমদানি নীতি না থাকায় বাজার ধরা সম্ভব হচ্ছে না।

 

বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ করিম মজুমদার বলেন, ‘এই খাতে বেশিরভাগ কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। এসব পণ্যের দাম, আমদানি খরচ ও ট্যাক্স পরিশোধ করে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এই বিশাল বাজারে ঢুকতে গেলে চিন্তাভাবনা বড় করতে হবে।’

 

সম্ভাবনাময় ওষুধ শিল্পের রফতানি আয় বছর ব্যবধানে ৬১.৮৫ শতাংশ বেড়ে জুলাইয়ে ১ কোটি ৯০ লাখ ডলার হলেও নেই শীর্ষ দশে। শীর্ষ দশের বাইরে থাকা বাইসাইকেলের রফতানি আয় ১ কোটি ২১ লাখ ডলার।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন