দুদকের অনুসন্ধানে এই দুর্নীতি উঠে আসায় তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করা হয়েছে।
রাশেদুল আলম স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী। ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে রাশেদুল আলম ও তার স্ত্রী শিক্ষিকা অপর্না রাণী দাস হঠাৎ ১০ কোটি টাকা জমা ও উত্তোলন করায় গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে দুদক। বেরিয়ে আসে ৫০ হাজার টাকা বেতনের চাকরিজীবী রাশেদের বিলাসী জীবনের গল্প।
দুদক অনুসন্ধানে উঠে আসে, পাঁচ তারকা হোটেলে নিয়মিত যাতায়াত করতেন রাশেদ। ব্যবহার করেন দেড় লাখ টাকার ঘড়ি। অন্তত ২২ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন রাশেদুল দম্পতি। শেয়ার বাজারে আছে প্রায় ৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নামে দুদকের মামলা
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৪ কাঠা জমি কিনে ৬ তলা বাড়ি নির্মাণের নকশাও তৈরি করেন রাশেদুল। স্ত্রী কিশোরগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষিকা হলেও তার অবৈধ সম্পদ ৬০ লাখ টাকার বেশি। এই দম্পতির বিরুদ্ধে সাড়ে ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পাওয়ায় দুটি মামলা করতে যাচ্ছে দুদক।
ঠিকাদারদের যোগসাজশে লুটপাটে জড়িত প্রকৌশলীদের একটি অংশ। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলামের।
তিনি বলেন, পার্সেন্টের ভাগ নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত যায়। এটা একটা বড় কারণ। ঠিকাদারদের সঙ্গে আঁতাত করে ফেলে। দুর্নীতির মাধ্যমে তারা যে সম্পদ অর্জন করছে তা যদি বাজেয়াপ্ত করা না যায় তাহলে কিন্তু এই প্রবণতা থেকেই যাবে এবং তা বৃদ্ধি পাবে।
অভিযুক্ত রাশেদ স্ত্রীসহ নিউজিল্যান্ডে শিক্ষা ছুটিতে থাকায় তাদের বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। এরইমধ্যে রাশেদুলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে দুদক।