৫ দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের

১ দিন আগে
জুলাই সনদের অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, আগামী নির্বাচনে প্রকৃত লেভেল–প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা, জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন-- এই ৫ দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক জনমত গঠনের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

 

নেতৃদ্বয় বলেন, দেশ আজ ভয়াবহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত। জনগণের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে পুরোনো স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। জুলাই সনদের বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করায় জাতি আজ রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও বিপর্যয়ের গভীর খাদে পতিত হচ্ছে। ইসলামী শক্তিকে দমিয়ে রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে এবং জাতীয় স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে বিদেশি প্রভুদের খুশি করার নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছি—জনগণের ঈমানী চেতনা ও জুলাই বিপ্লবের গণ আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করার যে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।

 

ঘোষিত কর্মসূচি হলো:

১. ০১ অক্টোবর থেকে ০৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ব্যাপক গণসংযোগ কর্মসূচি। এ সময় জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও ৫ দফা গণদাবির পক্ষে মতবিনিময় সভা, গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।
২. ১০ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় গণমিছিল।
৩. ১২ অক্টোবর সারাদেশে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি পেশ।

 

সরকারকে জনগণের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে সতর্ক করা হবে যে, জনগণের ন্যায্য দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

 

আরও পড়ুন: ৫ দাবিতে ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের

 

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, জুলাই সনদ ও ৫ দফা দাবি কেবল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কর্মসূচি নয়, বরং দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে এদেশের প্রতিটি মানুষের প্রাণের দাবি। এটি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইসলামী মূল্যবোধ এবং জনগণের মৌলিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র পথ।

 

তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের দাবিকে অবজ্ঞা করবেন না। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে নতজানু হয়ে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দেশকে অনিশ্চয়তার গভীরে ঠেলে দেবেন না। জনগণের ধৈর্যের সীমা শেষ হয়ে গেছে। আমরা হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি—আর কোনো ছলচাতুরী বা কালক্ষেপণের সুযোগ নেই।

 

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী এবং দেশবাসীকে উক্ত কর্মসূচি সর্বশক্তি দিয়ে বাস্তবায়ন ও শতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন