পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং নিশ্চিতসহ প্রায় অভিন্ন কয়েকটি দাবিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতসহ কয়েকটি ইসলামী দল।
সরকারের পক্ষ থেকে এখনো ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলগুলো। নেতাদের আশা, চলতি মাসে কর্মসূচির মধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে মিলবে ইতিবাচক সাড়া।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে যারা যারা এই আন্দোলনে সহমত পোষণ করেছে আমরা মনে করি রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে এটা অর্জন করতে হবে। আমরা মনে করি এটা আমাদের দাবি উত্থাপিত হয়েছে। কিছু আন্দোলন হয়েছে আলোচনা চলছে এর মধ্য দিয়েই জুলাই সনদের যে আইনি ভিত্তি সেটা বাস্তবায়িত হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।
চলতি মাসের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে নভেম্বরে একই মঞ্চ থেকে বড় পরিসরে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুছ আহমদ।
আরও পড়ুন: জোট গঠনে সর্বোচ্চ ছাড় দিতে রাজি জামায়াত
তিনি বলেন, যখন সরকার কোনো বিষয়ে গড়িমসি করে ময়দানে থেকে চাপ দিলে কিছুটা পরিবর্তন আসবে। আমাদের ধারণা ছিল দাবিগুলোর মূল্যায়ন করবে, বিবেচনায় নিবে। আমরা দেখছি কোনো মূল্যায়ন করছে না, বিবেচনাও করছে না। এখন তো রাজপথে থাকা ছাড়া কোনো পথ দেখছি না। সম্ভাব্য সময় নভেম্বরের আগে পরে আমরা স্পষ্ট করতে পারবো এবং দেশবাসীর জন্য একটা স্পষ্ট মেসেজ দিতে পারবো।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার জানান, আন্দোলনের মধ্যেও সরকারের জন্য খোলা থাকবে আলোচনার দুয়ার। তবে সরকার উদাসীন থাকলে রাজনৈতিক মিত্র নিয়ে মাঠে নামবেন বৃহত্তর কর্মসূচি নিয়ে।
তিনি বলেন, একটা পর্যায়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে এটা নিষ্পত্তি হওয়া সম্ভব। অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আমরা যেসব দল আমরা একমত হয়েছি, আমরা আবার এসব দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ আলোচনা করে পরবর্তী কৌশল, কর্মসূচি কোন দিকে আমরা যাব তখন সিদ্ধান্ত নেব এবং এই কর্মসূচির সুফল আমরা পাব।
৯ দিন গণসংযোগের পর অক্টোবরের মাঝামাঝিতে রাজধানীতে পৃথক সমাবেশ করবে ইসলামী দলগুলো।