শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত বলেন, ‘তাদের (আওয়ামী লীগ) কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমেন্টে হুমকি-ধমকির স্বাধীনতা উপভোগ করছে।’
আওয়ামী লীগ জনবিবর্জিত দলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, আওয়ামী লীগ হচ্ছে ফ্যাসিবাদী শক্তি। তাদের যেই ভিত্তি, এটা মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত। তাদের প্রচারণা ও মেনিফেস্টো হচ্ছে মিথ্যা। এবং তাদের এ মিথ্যাকে সমর্থন দিয়েছে অভিজাততন্ত্র বা অলিগার শ্রেণি। এ শ্রেণির সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি রিসিপ্রোকেল সম্পর্ক ছিল। দিন শেষে আওয়ামী লীগ একটি জনবিবর্জিত দলে পরিণত হয়েছে।’
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এখন অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করে হাসনাত বলেন, ‘আমরা এখন পোস্ট আওয়ামী লীগ সিচ্যুয়েশনে রয়েছি। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে এখন অপ্রাসঙ্গিক। আমরা এখন দুই শ্রেণিতে বিভক্ত- নিপীড়ক আর নিপীড়িত। আওয়ামী লীগ হলো নিপীড়ক আর বিএনপি, জামায়াতসহ আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি তারা নিপীড়িত শ্রেণি। বিএনপির সঙ্গে আমাদের লড়াই নয়, জামায়াতের সঙ্গে আমাদের লড়াই নয়। আমাদের নিপীড়িত শ্রেণির যুদ্ধটা নিপীড়ক আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আমাদের মতপার্থক্য হবে, আলোচনা হবে। এবং ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশটা আমাদের। আমারা যারা ফ্যাসিবাদ উৎখাত করেছি এই বাংলাদেশটা আমাদের।’
আরও পড়ুন: আমরা একটি রাজনীতি সচেতন প্রজন্ম চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ
হাসনাত বলেন, ‘দেখবেন তারা পাচার করা টাকায় এখনো প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম সরি ফিলিংস নেই। এখনো তাদের হুমকি-ধমকি অব্যহত আছে।’
কোনো জাতীয় সম্পদের ক্ষতি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৩২ নম্বরের বাড়ি ৫ আগস্টেই ধূলিসাৎ করে দেয়া উচিত ছিল, যেটা পরবর্তীতে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছে।’
সচিব-আমলাদের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়ে হাসনাত বলেন, ‘সচিবালয়ের গতি যেন ৩২ নম্বরের মতো না হয়, সচিবালয়ের গতি যেন গণভবনের মতো না হয়।’