শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকার ১৮৪টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পদের বিপরীতে এই পরীক্ষায় লড়ছেন ৪৬০ জন।
সরকারি কলেজের ৬৮৩ শিক্ষক পদে নিয়োগে এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে মৌখিক পরীক্ষা নেয়া শুরু হতে পারে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সরকারি কলেজে শিক্ষক পদে নিয়োগের এ বিসিএসে ৩ লাখ ১২ হাজার ৭৫২ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সে হিসাবে প্রতিটি পদের বিপরীতে লড়ছেন প্রায় ৪৬০ জন।
আরও পড়ুন: ৪৯তম বিসিএসে (বিশেষ) পরীক্ষার্থীদের জন্য পিএসসির যত নির্দেশনা
পরীক্ষার্থীদের করণীয়
১. পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। ৯টা ৩০ মিনিটের পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
২. পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তরপত্র বিতরণ করা হবে। উত্তরপত্রের চারটি সেট থাকবে, যেমন সেট # ১, ২, ৩ ও ৪।
আরও পড়ুন: ৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা
৩. প্রশ্নপত্র বিতরণের পর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১২টা) কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষার কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না।
৪. পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো ডিভাইস, গয়না ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৫. পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ
৬. পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল পরিবর্তনের কোনো আবেদন বিবেচনা করা হবে না।
৭. প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে শ্রুতিলেখক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিশনের মনোনীত শ্রুতলেখক ছাড়া অন্য কেউ শ্রুতিলেখক হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য শ্রুতিলেখকদের ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টার পরীক্ষার জন্য ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়া হবে এবং অন্য প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টার পরীক্ষার জন্য পাঁচ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়া হবে।
৮. পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল পরিবর্তনের কোনো আবেদন বিবেচনা করা হবে না। এ পরীক্ষায় ২০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। পরীক্ষার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন। তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.৫০ (শূন্য দশমিক পাঁচ শূন্য) নম্বর করে কাটা হবে। পরীক্ষার জন্য পূর্ণ সময় দুই ঘণ্টা। প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে শ্রুতলেখক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিশনের মনোনীত শ্রুতলেখক ছাড়া অন্য কেউ শ্রুতলেখক হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
পরীক্ষাকেন্দ্র ও নির্দেশনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন।
এই বিসিএসের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিতে গত ২১ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ২২ জুলাই থেকে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত আবেদন চলে।