মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ইডেন গার্ডেনসে চার-ছক্কার উৎসবের ম্যাচে কলকাতাকে ৪ রানে হারিয়েছে লখনৌ সুপারজায়ান্টস। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মিচেল মার্শ এবং নিকোলাস পুরানের অতিমানবীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান করে লখনৌ। জবাব দিতে নেমে টপ অর্ডার ব্যাটারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরেও ২৩৪ রানে থামে কলকাতা।
এই জয়ে এবারের পাঞ্জাবকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে গেছে লখনৌ। পাঁচ ম্যাচে তাদের ৩ জয়। অন্যদিকে, ৫ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে টেবিলের ছয়ে নেমেছে কলকাতা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতেই ঝড় তোলেন কলকাতার দুই ওপেনার। ১৫ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন তারা। তৃতীয় ওভারে আকাশ দ্বীপের বলে কুইন্টন ডি কক ফেরেন এলবিডব্লিউ হয়ে। তবে দ্রুত উইকেট পেয়েও চাপ উতরাতে পারেনি লখনৌ।
দ্বিতীয় উইকেটে ২৩ বলে ৬৪ রানের জুটি গড়েন আজিঙ্কা রাহানে এবং সুনীল নারিন। দুজনেই ব্যাট চালিয়েছেন অস্ত্রের মতো। আর তাতে পাওয়ারপ্লে থেকে ১৫ গড়ে ৯০ রান আসে কলকাতার।
১৩ বলে ৩০ রান করে পাওয়ারপ্লের পরপরই আউট হন নারিন। তবে এই উইকেট পতনেও কলকাতার বিশেষ ক্ষতি হয়নি। তৃতীয় উইকেটে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে নিয়ে আবার বড় জুটি গড়েন রাহানে। এক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় রান রেট ১০ এর আশেপাশে চলে আসে। হাতে উইকেট থাকায় ম্যাচ ছিল কলকাতার হাতের মুঠোয়। তবে এরপরই অদ্ভুতুড়ে পতন ঘটে কলকাতার।
১৩ তম ওভারের শেষ বলে শার্দুল ঠাকুরের বলে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাহানে। ৩৫ বলে ৬১ রান করে আউট হন কলকাতার অধিনায়ক। ব্যাটিংয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে এদিন আগে পাঠানো হয় রামানদীপ সিংকে। তবে সুযোগটা ভালোভাবে লুফে নিতে পারেননি এই ব্যাটার। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তরুণ ব্যাটার অঙ্কৃশ রঘুবংশী ৪ বলে করেন ৫ রান।
আরও পড়ুন: ছোট ভাইয়ের কাছে পরপর ২ ছক্কা খাওয়ার পর যা বললেন ক্রুনাল
সেট ব্যাটার ভেঙ্কটেশ আইয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কিছু করতে পারেননি। ২৯ বলে ৪৫ রান করে দলকে বিপদে ফেলে আউট হন। তবে তখনও আশা শেষ হয়নি। আন্দ্রে রাসেল এবং রিঙ্কু সিংয়ের উইকেটে টিকে থাকা আশা দেখাচ্ছিল কলকাতাকে। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে কলকাতার ভক্তদের স্বস্তিও এনে দেন রাসেল।
কিন্তু ১৭ তম ওভারের রাসেলও বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিলে অনেকটাই শেষ হয়ে যায় কলকাতার ম্যাচ। শেষদিকে রিঙ্কু ১৫ বলে ৩৮ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেললেও জয় এনে দিতে পারেননি।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে লখনৌকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন এইডেন মার্করাম এবং মিচেল মার্শ। ওপেনিং জুটিতে ৯৯ রান তোলেন এই দুই ব্যাটার। ২৮ বলে ৪৭ রান করে আউট হন মার্করাম। দ্বিতীয় উইকেটে নিকোলাস পুরানকে নিয়ে ৭১ রানের জুটি গড়েন মার্শ।
ফিফটি তুলে নিয়ে ৮১ রান করে আউট হন মার্শ। তবে ইনিংস একেবারে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান পুরান। ৩৬ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে ৮টি ছক্কা ও ৭টি চার মেরেছেন তিনি।
]]>