আইপিএলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করে লখনৌ। ৬১ বলে ১১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন অধিনায়ক রিশাভ পন্ত। জবাব দিতে নেমে ১৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান তোলে বেঙ্গালুরু।
৪৫৭ রানের ম্যাচে দলকে জেতানোর পথে ৩৩ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত মারকুটে ইনিংস খেলেন জিতেশ শর্মা। ২৩ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তার আগে ৩০ বলে ৫৪ রান করেন বিরাট কোহলি। লখনৌর পক্ষে উইল ও’রর্কে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিলেও বেশ খরুচে ছিলেন। আইপিএলের ইতিহাসে লখনৌর বোলার হিসেবে ৪ ওভারে সর্বোচ্চ ৭৪ রান খরচ করেন তিনি।
এদিকে এ জয়ে ১৪ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে বেঙ্গালুরু। সমান পয়েন্ট নিয়েও নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে রয়েছে পাঞ্জাব কিংস। ফাইনাল নিশ্চিত করার মিশনে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুদল প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে। অন্যদিকে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে শেষ করা গুজরাট টাইটান্স এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে শেষ করা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। দুদলের মধ্যে জয়ী দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে পরাজিত দলের বিপক্ষে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে জয়ী দল ৩ জুন ফাইনালে মুখোমুখি হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জয়ী দলের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দুঃসংবাদ পেলো পাকিস্তান
অন্যদিকে লখনৌর বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ১৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ছিল ১২। নিজেদের নিয়মরক্ষার ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চলতি আসরের সেরা ইনিংস খেলেন পন্ত। আগের ১৩ ম্যাচে মাত্র এক ফিফটি করা এ ব্যাটার এদিন তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৬১ বলে ১১ চার ও ৮ ছক্কার মারে অপরাজিত থাকেন ১১৮ রানে। দ্বিতীয় উইকেটে মিচেল মার্শের সঙ্গে গড়েন ১৫২ রানের রেকর্ড জুটি। আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে লখনৌর এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ১২১ রানের জুটি ছিল নিকোলাস পুরান ও মার্শের।
৩৭ বলে ৫ ছক্কা ও ৪ চারের মারে ৬৭ রান করেন মার্শ। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করে লখনৌ। বেঙ্গালুরুর পক্ষে ১টি করে উইকেট তুলে নেন নুয়ান তুশারা, ভুবনেশ্বর কুমার ও রোমারিও শেফার্ড।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে ছন্দে ছিল বেঙ্গালুরু। দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলি পাওয়ার প্লে কাজে লাগান। ১৯ বলে ৬ চারের মারে সল্ট ৩০ রান করে আউট হলেও ফিফটি তুলে নেন কোহলি। মাঝে রজত পাদিতার (১৪) ও লিয়াম লিভিংস্টোন (০) পরপর দুই বলে আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে বেঙ্গালুরু। মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে নিয়ে সে চাপ সামলান কোহলি।
দলীয় ১২৩ রানে ১০ চারের মারে ৩০ বলে ব্যক্তিগত ৫৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে নেমে আগারওয়ালকে একপাশে রেখে ম্যাচের মোড় ঘুরাতে থাকেন জিতেশ শর্মা। ৩৩ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৫ রানের মারকুটে ইনিংসে ৮ বল হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি। ২৩ বলে ৫ চারের মারে ৪১ রানে অপরাজিত থানে আগারওয়াল।
আরও পড়ুন: পিএসএল জিতে কত টাকা পেল রিশাদ-সাকিব ও মিরাজের দল?
লখনৌর পক্ষে ও’রর্কে ছাড়াও উইকেট পেয়েছেন আকাশ সিং ও আবেশ খান। তারা ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
]]>