তাকবিরে তাশরিক পড়তে ভুলে গেলে করণীয়

৬ ঘন্টা আগে
জিলহজের ৯ তারিখের ফজর থেকে ১৩ তারিখের আসর পর্যন্ত দিনগুলোতে তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা ওয়াজিব। এসব দিনে মুসল্লিরা যে তাকবির পড়েন তাকে তাকবিরে তাশরিক বলে। এ তাকবিরে মুসল্লিরা মহান আল্লাহর মহত্ব, বড়ত্ব ও একক সত্ত্বার কথা বলেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করেন।

মহান আল্লাহর প্রিয় বাক্যগুলোর একটি হলো- আল্লাহু আকবার। তাই তাকে খুশি করতে হলে তাকবির বেশি বেশি পড়া উচিত।


তাকবিরে তাশরিক হচ্ছে-

 

اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ উচ্চারণ: আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ।অর্থ: আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য। 

 

আরও পড়ুন: তাকবিরে তাশরিক কী, কবে থেকে পড়তে হবে?
 

তাকবিরে তাশরিক যেদিন থেকে পড়তে হয়


প্রত্যেক মুসল্লির জন্য জিলহজের ৯ তারিখের ফজর হতে ১৩ তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজ আদায় করে সালাম ফিরানোর সঙ্গে সঙ্গে উচ্চস্বরে একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। এ বছর শুক্রবার (৬ জুন) ফজরের নামাজ থেকে শুরু করে মঙ্গলবার (১০ জুন) আসর পর্যন্ত। (আদ্দুররুল মুখতার: ৩/১৭৭-১৭৮)


তাকবিরে তাশরিক পড়তে ভুলে গেলে



অনেকে তাকবিরে তাশরিকের দিনগুলোতে ফরজ নামাজ আদায়ের পর তাকবির বলতে ভুলে যান। পরে কখনও নামাজের ওয়াক্ত থাকতেই স্মরণ হয়। আবার কখনও ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর অন্য নামাজের সময় স্মরণ হয়। পরবর্তীতে স্মরণ হওয়ার পর তাকবিরে তাশরিক পড়ে নিলে ওয়াজিব আদায় হবে কি না?

 

এ বিষয়ে ফেকাহবিদ আলেমরা বলেন, ফরজ নামাজ আদায় করার পর তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক না বলে কেউ মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলে, অথবা নামাজ নষ্ট করে এমন কোনো কথা বা কাজ করলে, অথবা অজু নষ্ট হয়ে যায় এমন কোনো কাজ করলে তাকবিরে তাশরিক আদায়ের সময় বাকি থাকে না।

 

আরও পড়ুন: ভ্রমণে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে যে আমল করবেন


এক্ষেত্রে ওয়াজিব ছেড়ে দেয়ার জন্য তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। আর নামাজের পর ওপরের কোনো কাজ না করলে দেরিতে হলেও তাকবিরে তাশরিক পড়ে নিতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।(আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৭-১৭৯; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৫)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন