এজন্য ইরাকে দুই দিনের কারফিউ ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশের ১৮টি প্রদেশের মোট ১ লাখ ২০ হাজার গবেষক নাগরিকদের পরিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল-জাহরা আল-হিন্দাউই বলেন, আদমশুমারিটি জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে। এই আদমশুমারি থেকে কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে তথ্য পাবেন এবং ফাঁকফোকরগুলো চিহ্নিত করতে পারবেন। ফলে তাদের করণীয় ঠিক করতে সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন:অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন / ইরাক থেকে ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে ইরান
বিগত কয়েক দশকের বেশির ভাগ সময় সংঘাত এবং নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে ইরাককে। ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আগ্রাসন সাদ্দাম হোসেনের পতন ঘটায়। তারপর সাম্প্রদায়িক সংগ্রাম শুরু হয়। সেই সময় থেকেই আইএসআইএল (আইএসআইএস) গ্রুপের উত্থান হয় ইরাকে।
এই আদমশুমারিতে পরিবারগুলো থেকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এতে ধর্মও অন্তর্ভুক্ত থাকবে তবে মুসলমানদের সুন্নি বা শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য করা হবে না। আগের গণনায় যেমন ছিল, এই আদমশুমারিতে সম্প্রদায় নিয়ে কোন তথ্য সংগ্রহ হবে না। এবার জাতিগত তথ্য নেয়ার বিষয়টি বাদ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ইরানে হামলা / আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় জাতিসংঘে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরাকের অভিযোগ
আদমশুমারি ইরাকের সম্পদ বন্টন, বাজেট বরাদ্দ এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
]]>