এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (৯ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব।
গত ১৮ নভেম্বর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। তবে বিসিএসে যেহেতু আগে চিকিৎসকরা দুই বছর বেশি সময় পেতেন, এজন্য তারা আশা করেছিলেন বিসিএসে তাদের বয়সসীমা ৩৪ বছর করা হতে পারে। কিন্তু গত ২৮ নভেম্বর প্রকাশিত ৪৭তম বিসিএসে সাধারণ প্রার্থীদের মতো চিকিৎসকদের বয়সসীমাও সর্বোচ্চ ৩২ বছর রাখা হয়। বিষয়টি চিকিৎসকরা বৈষম্যমূলক মনে করছেন।
আরও পড়ুন: বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ
বিষয়টি নিয়ে সাধারণ এমবিবিএস ও বিডিএস চিকিৎসক সমাজের পক্ষে চিকিৎসক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডা. মাহফুজুল হক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মঈন উদ্দিন চিশতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরে লিখিতভাবে দাবি জানিয়েছেন।
গত ৫ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করেন তারা। এছাড়া ৮ ডিসেম্বর পিএসসির চেয়ারম্যান, ১২ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর কাছেও লিখিতভাবে দাবি তুলে ধরেন।
এদিকে, চিকিৎসকদের দাবি সম্বলিত লিখিত আবেদন পাওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। তাতে বিসিএসের স্বাস্থ্য ক্যাডারে চিকিৎসকদের বয়সসীমা ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৩৪ বছর করার বিষয়টি বিবেচনা করতে বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসনে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। এরপরও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় রিট করেন ১০ জন বিসিএস পরীক্ষার্থী। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
]]>