৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিলো ইসরাইল, অনেকের দেহে নির্যাতনের চিহ্ন

১৬ ঘন্টা আগে
হামাসের হাতে নিহত দুই ইসরাইলি বন্দির মরদেহ ফেরত দেয়ার একদিন পরই গাজায় ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ পাঠিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনেক মরদেহেই রয়েছে নির্মম নির্যাতনের ছাপ।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ এই হস্তান্তরের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ২২৫টি মরদেহ গাজায় ফেরত নেয়া হয়েছে।

 

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজার দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিস এবং উত্তর গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

 

দেশটির সামরিক বাহিনী জানায়, সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানো হয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, বিমান হামলায় বেসামরিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: আরও দুই জিম্মির লাশ ফেরত দিলো হামাস

 

শুক্রবারের (৩১ অক্টোবর) হামলায় অন্তত তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, পূর্ব গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় ইসরাইলি গুলিতে এক ফিলিস্তিনি নিহত ও তার ভাই আহত হয়েছেন।

 

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি গোলাবর্ষণে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ইসরাইলি হামলায় আহত এক ব্যক্তি পরে মারা গেছেন।

 

গাজার বাসিন্দারা বলছেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও বাস্তবে তা টিকে নেই। খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাবে বহু মানুষ এখনও মানবিক বিপর্যয়ের মুখে। আবারও সহিংসতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় দিন কাটছে অনেকের।

 

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগের প্রতিবাদে জেরুজালেমে ২ লাখ ইহুদির বিক্ষোভ

 

এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি রক্ষায় কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াচ্ছে তুরস্ক। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান জানান, স্থানীয় সময় সোমবার ইস্তাম্বুলে জরুরি বৈঠক গাজার যুদ্ধবিরতি এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে।

 

বৈঠকে অংশ নেবেন সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, জর্ডান, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ফিদান বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহে ইসরাইলের বাধা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। তুরস্কের লক্ষ্য, যুদ্ধবিরতি ধরে রাখা এবং ‘গাজা টাস্কফোর্স’ গঠন করা।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন