টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম চার ওভার ভালোই খেলছিলেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। শুরুর চার ওভারে তাদের রান ছিল ৩৭। তবে এরপর যা হলো, তা অবিশ্বাস্য। মাত্র ২০ রানের মধ্যেই ১০ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৭ রানেই গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে!
প্রাই দেড় মাস আগে গাম্বিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ৩৪৪ রান করে বিশ্ব রেকর্ড করে জিম্বাবুয়ে। সেই দলটাই এবার গুটিয়ে গেল টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে! গত জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোয় ৮২ রান ছিল তাদের আগের সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন: নাহিদ রানার প্রশংসায় সাবেক ক্যারিবীয় ও অজি তারকা
সফরকারীদের বাঁহাতি স্পিনার সুফিয়ান মুকিম এ ম্যাচে গড়েছেন ইতিহাস। তার বোলিং বিশ্লেষণ ২.৪–০–৩–৫! পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি উমর গুলের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছেন এই ২৫ বছর বয়সী। ২০০৯ সালে ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন গুল।
জিম্বাবুয়ের দেয়া ছোট এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ওপেনাররাও বেশি সময় নেননি। মাত্র ৫.৩ ওভারে ১০ উইকেটের জয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। তিন ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২–০ ব্যবধানে জিতে নিল পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: ব্লাইন্ড ক্রিকেট দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন বার্তা
পাকিস্তানের ওপেনার ওমাইর ইউসুফ ২২ রানে ও সাইম আইয়ুব ৩৬ রানে অপরাজিত থাতেন। কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ের শুরুটাও কিন্তু ভালো ছিল। ৪ ওভারে ৩৭ রান তুলেছিলেন দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে মারুমানিকে আব্বাস আফ্রিদি তুলে নেওয়ার পর যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে স্বাগতিকদের ইনিংস।
৫ থেকে ৯ পর্যন্ত- প্রতি ওভারেই উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এর মধ্যে ৯ম ওভারে দুই বলে ২ উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মুকিম। ১১তম ওভারে গিয়ে তিন বলের ব্যবধানে নিয়েছেন ২ উইকেট। ১৬ বলের ব্যবধানে মাত্র ৩ রানে ৫ উইকেট নেন মুকিম। এছাড়া দুটি উইকেট নেন আব্বাস, ১টি করে উইকেট আবরার, হারিস রউফ ও সালমান আগা।
]]>