সাধারণত ওজন কমানো মোটেও সহজ কাজ নয়। এই জন্য করতে হয় কঠোর পরিশ্রম। খাবার মেইনটেইন থেকে শুরু করে যেতে হয় জিমে। বলা যায়, ঘড়ি ধরেই জীবন চালাতে হয়।
কিন্তু অনেক সময় এত কিছুর পরেও কমতে চায় না বাড়তি ওজন। তাই নির্দিষ্ট করে আসলে বলা কঠিন, ঠিক কোন পথ ধরে চললে সহজেই স্লিম হওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডায়েট, জিম করাই ওজন কমানোর একমাত্র উপায় নয়। পরিশ্রম না করেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার রয়েছে সহজ কয়েকটি নিয়ম। আসুন সেগুলো একে একে জেনে নিই-
১। খাবারে ছোট চামচ ব্যবহার করুন
অনেকেই ডিরেক্ট হাতের বদলে চামচ দিয়ে খাবার খান। এই অভ্যাসে যদি আপনি ছোট চামচ ব্যবহার করতে পারেন, সেক্ষেত্রে উপকার পাবেন। বড় চামচে এক বারে অনেকটা বেশি খাবারও ওঠে। ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়ে যায়। তাই খাওয়ার সময় ছোট চামচ ব্যবহার করুন। বেশি খাবার খেয়ে নেয়ার সুযোগ কম পাবেন।
২। ভারি খাবার খাওয়ার পর চুইংগাম চিবোনো
মুখের মেদ ঝরাতে চুইংগাম চিবানোর অভ্যাস আছে অনেকেরই। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, শুধু মুখের নয়, শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতেও চুইংগাম দারুণ উপকারী।
গবেষণা বলছে, ভারি খাবার খাওয়ার পর চুইংগাম চিবালে ওজন দ্রুত ঝরে। তবে খাবার না খেয়ে শুধু চুইংগাম খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৩। নীল রঙের থালায় খাবার খান!
রঙের সঙ্গে রোগা হওয়ার কোনো সম্পর্ক আছে কি-না, তা নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। তবে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে, রঙের সঙ্গে রোগা হওয়ার একটি সূক্ষ্ম সম্পর্ক রয়েছে। কোন রঙের থালায় খাবার খাচ্ছেন, সেটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণায় উঠে এসেছে, সাদা কিংবা লাল রঙের চেয়ে নীল রঙের থালায় খাবার খাওয়ার বেশকিছু উপকারিতা রয়েছে। নীল রঙের থালায় খাবার খেলে খাবার বেশি খাওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। দ্রুত খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। আর এই দুটিকেই মোটা না হওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
]]>