শুক্রবার (১৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, ইরানে ইসরাইলের হামলার সরাসরি প্রতিক্রিয়া পড়েছে তেলের বিশ্ববাজারে। শুক্রবার সকালে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৯ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গত ৫ মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে (জানুয়ারি পর থেকে) সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ইরানে ইসরাইলের হামলা / বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম দুই মাসে সর্বোচ্চ
শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬.২৯ ডলার বা ৯ দশমিক ০৭ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৭৫.৬৫ ডলারে। আর মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ৬.৪৩ ডলার বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয়েছে ৭৪.৪৭ ডলারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি শুধু তেল উৎপাদন ও সরবরাহের ওপর নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত স্থিতিশীলতার ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। হরমুজ প্রণালীর মতো গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি পরিবহন চ্যানেল নিয়েও উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে, যেখানে প্রতিদিন প্রায় ২০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পরিবাহিত হয়।
বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে অনিশ্চয়তা নতুন করে ঘনীভূত হয়েছে ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার পর। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি ঘিরে ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি এতটাই বেড়েছে যে, বাজার এখন তেলের দামে বাড়তি প্রিমিয়াম অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য হচ্ছে-এমনটাই জানিয়েছে ওয়ারেন প্যাটারসন নেতৃত্বাধীন আইএনজির বিশ্লেষক দল।
আরও পড়ুন: পাল্টা হামলার শঙ্কায় ইসরাইলজুড়ে সতর্কতা জারি
এমএসটি মার্কির জ্যেষ্ঠ জ্বালানি বিশ্লেষক শৌল কাভোনিকের মতে, যদি পরিস্থিতি চরমে পৌঁছে, তবে ইরান হরমুজ প্রণালি দিয়ে জাহাজ চলাচলে সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে পারে কিংবা সরাসরি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে। যার ফলে প্রতিদিন প্রায় ২০ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
ফিলিপ নোভার সিনিয়র বাজার বিশ্লেষক প্রিয়াঙ্কা সচদেব বলেন, ‘ইরান এরই মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছে এবং প্রতিশোধের কার্যক্রম শুরু করেছে। এর ফলে শুধু সরবরাহ ব্যবস্থার ঝুঁকি বাড়ছে না, বরং আঞ্চলিকভাবে অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোতেও অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।’
এদিকে, সকালে ইসরাইল ইরানে হামলা চালানোর পর এবার ইসরাইলে ১০০টিরও বেশি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে ইরান থেকে উৎক্ষেপণ করা ড্রোনগুলো ইসরাইলে পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
]]>