২৭ কোটি টাকার 'মুজিব কিল্লা' কি কাজে লাগবে, জানে না এলাকাবাসী!

১ সপ্তাহে আগে
কিশোরগঞ্জের হাওড়ে প্রায় ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ১৪টি মুজিব কিল্লা। তবে বড় বাজেটের এ প্রকল্প জনগণের কতোটা কাজে আসবে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রকল্পের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছুই জানে না এলাকার মানুষ। বন্যার সময় গবাদি পশু রাখার জন্য এসব কিল্লা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন উপজেলা সদরে ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ পল্লী মুজিব কিল্লা। বিশাল ভবনে সবকিছু আছে শুধু নেই মানুষের বিচরণ। পরিত্যক্ত হয়ে আছে দুই বছর আগে নির্মিত কিল্লাটি।


একই উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘাগড়া আব্দুল গণি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ২ কোটি ৪৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুজিব কিল্লাও কোন কাজে আসছে না।


এ দুটি মুজিব কিল্লার বিশাল একতলা ভবনের ভেতরে গিয়ে দেখা গেছে, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অযত্ন ও অবহেলায় ময়লা আবর্জনায় নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রপাতি। এগুলো কোন কাজে আসছে না। নির্মাণের পর থেকেই পরিত্যক্ত। এলাকার মানুষ জানে না বিশাল এ ভবনগুলো ঠিক কি কারণে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে কেউ কেউ শুনেছেন বন্যা হলে এগুলোতে মানুষ ও গবাদি পশু আশ্রয় নেবে। অথচ হাওড়ের প্রায় প্রতিটি স্কুলেই রয়েছে বন্যাশ্রয় কেন্দ্র।


এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিশাল এ ভবনগুলো ঠিক কি জন্য নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি তারা জানে না। অনেকে বলেছেন, `এখানে বন্যার সময় গরু-ছাগল আশ্রয় নেবে বলে শুনেছেন।’


জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে,  দুর্যোগ ও  ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১৪টি মুজিব কিল্লা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২২ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত শেষ হয়েছে মাত্র ৩টি। টেন্ডার হয়েছে আরও ২টি। রাস্তাঘাট না থাকা, জমি নিয়ে জটিলতাসহ নানা কারণে থেকে আছে বাকিগুলোর নির্মাণ কাজ। বন্যা হলে গবাদিপশু রাখা এবং অন্য সময় সামাজিক অনুষ্ঠানের ব্যবহারের জন্য এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে বলছেন জানান জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা।


আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় দানা: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ সাইক্লোন শেল্টার


কিশোরগঞ্জ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান জানান, মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি প্রকল্পটি পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা স্থানীয় ভাবে শুধু নির্মাণ কাজ তদারকি করছি।


জানা গেছে, বন্যা প্রবল ও নদী ভাঙন এলাকায় মুজিব কিল্লা নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় কিশোরগঞ্জের ৩টি উপজেলায় ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪টি কিল্লা নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১ জুলাই। ২০২১ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন