২০২৬ আসরের খেলোয়াড় নিলাম অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ নভেম্বর, ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে। এর আগে সবশেষ ২০১২ ও ২০১৩ সালে বিপিএলের প্রথম দুই আসরে নিলাম পদ্ধতি ছিল। তবে খেলোয়াড়দের পেমেন্ট ইস্যু নিয়ে সমস্যা এড়াতে ২০১৫ সালে তৃতীয় আসর থেকে শুরু হয় প্লেয়ার্স ড্রাফট পদ্ধতি।
ড্রাফট পদ্ধতি শুরু হওয়ার পরও থেমে থাকেনি খেলোয়াড়দের পেমেন্ট ইস্যুর সমস্যা। তাই এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে এবারের নিলাম দিয়েই শুরু হচ্ছে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানার চক্র। পাশাপাশি ফিরিয়ে আনা হলো বিডিং প্রক্রিয়া।
এবার স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিলাম কাঠামো সাজানো হয়েছে মোট ছয়টি ক্যাটাগরিতে। যেখানে ‘এ’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ টাকা। এরপর পর্যায়ক্রমে ‘বি’ ৩৫ লাখ, ‘সি’ ২২ লাখ, ‘ডি’ ১৮ লাখ, ‘ই’ ১৪ লাখ ও ‘এফ’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ১১ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই টাকা থেকে শুরু হবে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের নিলাম।
আরও পড়ুন: বিপিএলের নিলামে যেসব নিয়ম মেনে খেলোয়াড় কিনতে হবে
২৩ তারিখের নিলাম থেকে প্রতিটি দলকে নূন্যতম ১১ জন ক্রিকেটার কিনতে হবে। এর বাইরে সরাসরি চুক্তিতে ২ জনকে দলে ভেড়াতে পারবে তারা। সব মিলিয়ে স্কোয়াডে নূন্যতম ১৩ জন ও সর্বোচ্চ ১৫ জন দেশি ক্রিকেটার রাখা যাবে।
তবে দলগুলো চাইলে ‘এ’ কিংবা ‘বি’ ক্যাটাগরির সর্বোচ্চ দুইজন খেলোয়াড়কে নিলামের আগেই সরাসরি চুক্তিতে দলে ভেড়াতে পারবে। স্থানীয় খেলোয়াড় কেনার জন্য প্রতিটি দলের বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা সরাসরি চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের বাইরে প্রযোজ্য হবে।
বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্যও থাকছে পৃথক নিলাম। পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে এই তালিকা। ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত। প্রতিটি দল নিলামের আগে সর্বোচ্চ দুইজন বিদেশি খেলোয়াড়কে সরাসরি দলে টানতে পারবে। এছাড়া নিলাম থেকে অন্তত দুইজন বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বিদেশি খেলোয়াড়দের কেনার জন্য সর্বোচ্চ বাজেট থাকবে সাড়ে ৩ লাখ মার্কিন ডলার। টুর্নামেন্ট চলাকালীন যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে খেলোয়াড় বদলানোর সুযোগ থাকবে, তবে তা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের অনুমতিসাপেক্ষে। প্রতিটি ম্যাচে দলে থাকতে পারবে সর্বোচ্চ চারজন ও ন্যূনতম দুইজন বিদেশি খেলোয়াড়।
আরও পড়ুন: টি-টেনের এনওসি পেলেও তিন ম্যাচ খেলেই ফিরতে হবে সাইফকে
এবারের বিপিএলে খেলবে পাঁচটি দল। এর মধ্যে পুরোনো দুটি- রংপুর রাইডার্স (টগি স্পোর্টস) ও ঢাকা ক্যাপিটালস (চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস)। আর নতুন তিনটি দল হলো- চট্টগ্রাম রয়্যালস (ট্রায়াঙ্গল সার্ভিসেস), রাজশাহী ওয়ারিয়র্স (নাবিল গ্রুপ) ও সিলেট টাইটান্স (ক্রিকেট উইথ সামি)।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ও বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু এর আগে জানিয়েছিলেন, পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে ব্যর্থ হলে চূড়ান্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানও নিলামের টেবিলে বসার সুযোগ পাবে না। সেই কর্মদিবস শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর)।
আসন্ন বিপিএলে দল নিতে আবেদন করেছিল ১১টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান বিসিবির দেওয়া শর্ত পূরণ করতে না পারায় আগেই বাদ পড়ে যায়। বাকি আটটি থেকে পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে চূড়ান্ত করে ক্রিকেট বোর্ড।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৬






Bengali (BD) ·
English (US) ·