বড় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শতবর্ষী বিশ্বকাপের আসর অনুষ্ঠিত হবে তিন মহাদেশে। ইউরোপের আয়োজক দুই দেশ হলো পর্তুগাল ও স্পেন, আফ্রিকার মরক্কো। ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপ হয়েছিল উরুগুয়েতে। বিশ্বকাপ শত বছরে পা রাখতে যাওয়ায় ফিফা উরুগুয়েতে একটি উদ্বোধনী ম্যাচ রেখেছে, শুরুর দিকে একটি করে ম্যাচ হবে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতেও।
২০৩০ সালের আসরে নিজেদের দেশে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে আরও বেশি ম্যাচ চায়। সে চাওয়া থেকেই গত মার্চে ২০৩০ সালের আসরটি ৬৪ দলের করার প্রস্তাব তুলেছিল উরুগুয়ে। অনলাইনে ফিফার সঙ্গে মিটিংয়ে প্রস্তাব তুলে তারা। এবার আর অনলাইনে নয়, নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে ফিফার অফিসে লাতিন আমেরিকার একটি প্রতিনিধি দল ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন কনমেবল সভাপতি আলেহান্দ্রো ডমিনগুয়েজ, প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো পেনা এবং উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট ইয়ামান্দু অরসি।
আরও পড়ুন: ব্যালন ডি’অর জয়ের ইতিহাসে শীর্ষে আছে যে দেশ
বৈঠক শেষে কনমেবল সভাপতি খুশি, তার মানে ফিফা তাদের প্রস্তাবে ইতিবাচক। সামাজিক মাধ্যমে ডমিনগুয়েজ লেখেন ডমিনগুয়েজ লেখেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ২০৩০ বিশ্বকাপ হবে ঐতিহাসিক! ধন্যবাদ ইনফান্তিনো, আমাদের স্বপ্নের এই যাত্রায় একাত্ম হওয়ার জন্য। ফুটবল যখন সবার সঙ্গে ভাগাভাগি হয়, তখন উদযাপন সত্যিকার অর্থেই বৈশ্বিক হয়ে ওঠে।’
তবে গার্ডিয়ানের এক খবরে বলা হয়েছে, ফিফা ৬৪ দলের প্রস্তাবে ইতিবাচক নয়। দল বাড়ালে ম্যাচ বাড়বে, টুর্নামেন্ট শেষ করতে সময়ও লাগবে বেশি। আগামী মাসে জুরিখে ফিফার কাউন্সিল বসবে। সেখানে ৬৪ দলের এই প্রসঙ্গ উঠানো হবে না বলে জানিয়েছে ফিফার একটি সূত্র। ‘জিয়ান্নি চাইলেও কাউন্সিলে ভোট পাবে না।... ৬৪ দল হলে বিশ্বকাপটাই নষ্ট হয়ে যাবে।’