শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ভবনের দেয়ালে পরিবর্তিত নামের ছবি তুলতে গেলে উপাচার্য দুই ছাত্রীকে থামিয়ে তাদের ব্যক্তিগত আইডি কার্ড নিয়ে নেন এবং পরিবারের লোকজনকে ডেকে আনার হুমকি দেন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে আইডি ফেরত দিলেও ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায়।
প্রথম ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান,আমি শুধু লেখা দেখে ছবি তুলছিলাম। উপাচার্য স্যার আমার আইডি কার্ড নিয়ে বলেন তোমাদের পরিবারকে ডাকব। অথচ আমি কিছুই লিখিনি। তিনি বলেন, দাঁড়িয়ে দেখা মানেই সমান অপরাধী। আমার পরিবার তো ৪০০ কিলোমিটার দূরে থাকে তাদের ডেকে কি করবেন জানতে চাইলে বলেন, এমনভাবে আপ্যায়ন করব যাতে খুশি হয়ে যাবেন। আমার কাছে এটি হুমকি ছাড়া আর কিছু মনে হয়নি।
দ্বিতীয় ছাত্রী বলেন, আমরা কেবল ছবি তুলছিলাম, তখন আমাদের ডেকে জিজ্ঞেস করা হয়, আমরা লেখাটি করেছি কিনা। অস্বীকার করলে আইডি কার্ড নিয়ে ছবি তোলা হয়। পরে চাপের মুখে ফেরত দেওয়া হলেও রেজিস্ট্রার বলেন, ছবি পেতে সময় লাগবে না।
আরও পড়ুন: চবিতে সহিংসতাকে প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির ‘চরম ব্যর্থতা’
অন্যদিকে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক নুরুল হামিদ কানন দাবি করেন, ভবনের নাম কেটে লেখা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবিরুদ্ধ। তিনি বলেন, রাজনীতি বা প্রতিবাদ করা যায়, কিন্তু ভবনের নাম পরিবর্তন করার অধিকার শিক্ষার্থীদের নেই। নিয়োগে অস্বচ্ছতার প্রমাণ চাইলে শিক্ষার্থীরা তা দেখাতে পারেনি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত তথ্য মুছে দিতে জোর অনুরোধ করলে উপাচার্য বলেন, আইডি কার্ড শিক্ষার্থীর পরিচয়, সেটি নেয়ার অধিকার আমার রয়েছে। যদি নিয়োগ বাণিজ্যের প্রমাণ দিতে না পারো, তবে অভিভাবককে ডাকব।
আরও পড়ুন: চবি প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ, উপাচার্য ও প্রধান প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি
ঘটনার সময় উপাচার্যের পাশাপাশি উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন ও সহকারী প্রক্টর কোরবান আলী উপস্থিত ছিলেন।