প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক নিজেই টেলিফোনে জেলারকে নির্দেশ দেন মোসলেম ও সঙ্গীদের জেলের ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিতে। জেলের ভেতরে ঢুকে ল্যান্সার সৈনিকেরা জেলের একটি কক্ষে চারজন শীর্ষ পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে গুলি করে হত্যা করে। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এবং ভবিষ্যৎ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি করার জন্য খন্দকার মোশতাকের নির্দেশে এ জঘন্য হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।