১৮ বছরেও সম্পূর্ণ মেরামত হয়নি সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত পটুয়াখালীর বেড়িবাঁধগুলো

২ সপ্তাহ আগে
প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরের ১৮ বছর পেরুলেও এখনও সংস্কার হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ। এতে চরম হতাশা আর দুর্যোগের শঙ্কায় দিন কাটে পটুয়াখালীসহ উপকূলের মানুষের। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতসহ উচ্চতা বাড়াতে প্রকল্প প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর। দেশের উপকূলে আঘাত হানে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডর। লন্ডভন্ড হয় ৫৫ হাজার ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত ও বিধ্বস্ত হয় ৯০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও সড়ক। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জের চরখালী- গোলখালী, লোহালিয়া, পায়রাগঞ্জ,লাউকাঠী  সহ উপকূলবাসী।

 

শুধু মানুষই নয় গৃহপালিত পশু-পাখি ও বন্য প্রাণীও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্ণিঝড় সিডর কেড়ে নেয় পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় জেলার অনেক মানুষের প্রাণ। সিডরের দুর্বিষহ স্মৃতি আজও বহন করছেন সেসব এলাকার মানুষ। 

 

আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে বসবাসের অনুপযোগী আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো, নেই মেরামতের উদ্যোগ

 

দুর্যোগের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল উঁচু বেড়িবাঁধ নির্মাণ। তবে গত ১৮ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধও সম্পূর্ণ রূপে মেরামত না হওয়ায় চরম হতাশা আর শঙ্কার মধ্যে দিন কাটছে উপকূলের মানুষের। তারা বলছেন, এখন দরকার উঁচু ও শক্ত বেড়িবাধ, যাতে সিডরের মতো ঘুর্ণিঝড়ে আর ক্ষতিগ্রস্ত হতে না হয়।

 

তবে সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলোর উচ্চতা বাড়াতে প্রকল্প প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, আমারা সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলোর উচ্চতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে সিডরের মতো ঘূর্ণিঝড়ে সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি হবে না।

 

উল্লেখ্য, জেলায় মোট বেড়িবাঁধ রয়েছে ১ হাজার ৩৪০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বর্তমানে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে ৫ কিলোমিটার ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে প্রায় ১০ কিলোমিটার।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন