২০০৭ সালের ১৩ এপ্রিল পেশাদার ফুটবল লিগের প্রথম আসরে মোহামেডানের নোয়ান পল ডাবল হ্যাটট্রিক করেছিলেন রহমতগঞ্জের বিপক্ষে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ (৪ জানুয়ারি) এই কীর্তি গড়লেন রহমতগঞ্জের বোয়াটেং।
প্রথম গোল করার পর ঘানার প্রিমিয়ার লিগে খেলা অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ডের ডাবল হ্যাটট্রিক পূরণ করতে সময় লেগেছে মাত্র ৪৭ মিনিট। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের লিগে খেলতে এসেই ৬ ম্যাচে ১০ গোল করে গোলদাতার তালিকায় এখন সবার উপরে বোয়াটেং। ৬ গোল নিয়ে তালিকায় দুইয়ে আছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের সেনেগালের ফরোয়ার্ড। ৫ টি গোল করেছেন তিনজন- রহমতগঞ্জের নাবিব নেওয়াজ, পুলিশ এফসির আল আমিন ও মোহামেডানের সুলেমান দিয়াবাতে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম আবাহনীর জালে মোহামেডানের গোল উৎসব
দেশের প্রথম সারির কয়েকজন ফুটবলার নিয়ে এবার বেশ ভালো দল গঠন করেছে রহমতগঞ্জ। গত দুটি ম্যাচে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্সের বিপক্ষে গোল উৎসব করেছিল তারা। ২৪ ডিসেম্বর ফেডারেশন কাপে ৬-১ গোলে এবং ২৮ ডিসেম্বর ৬-০ গোলে জিতেছিল তারা। টানা তিন ম্যাচে ১৮ গোল করেছে রহমতগঞ্জ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মহিউর রহমান স্টেডিয়ামে ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে ৬-১ গোলে হারিয়েছে রহমতগঞ্জ। ওয়ান্ডারার্সের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন সাইফ সামসুদ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পাচ্ছেন মেসি
২৩ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন বোয়াটেং। ৩৭ মিনিটে ফেলিক্স টিটের আড়াআড়ি ক্রস ধরে গোলমুখে অরক্ষিত থাকা বোয়াটেং অনায়াসেই দ্বিতীয় গোলটি করেন। ৪৪তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে ওয়ান্ডারার্স একটি গোল পরিশোধ করে। এরপর ৬৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান বোয়াটেং। এক দৌড়ে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে কোনাকুনি শটে নিজের চতুর্থ গোল করেন তিনি। এরপর ৬৬ ও ৭০ মিনিটে আরও দুটি গোল করেন বোয়াটেং। এই জয়ে আবাহনীকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে রহমতগঞ্জ।
]]>