ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) বরাতে তাসনিম নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর সিএনএনের।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবিতে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, আইআরজিসির কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ ওই সংরক্ষণাগার পরিদর্শন করছেন।
হাজিজাদেহ ওই স্থানটিকে ‘সুপ্ত আগ্নেয়গিরি’ বলে বর্ণনা করেছেন বলে তাসনিমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইরানের আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ জানিয়েছে, গত অক্টোবর ও এপ্রিলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরান যে অভিযান চালিয়েছে, তার একাংশ পরিচালিত হয়েছে ভূগর্ভস্থ এ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ব্যবহার করে।
শুক্রবার ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আবাদানে এক অনুষ্ঠানে সালামি ঘোষণা করেন, আইআরজিসি অ্যারোস্পেস ফোর্স ‘নতুন বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র’ তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: কেন রাজধানী সরিয়ে নিচ্ছে ইরান?
তাসনিমের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, আইআরজিসির মুখপাত্র জেনারেল আলী মোহাম্মদ নাঈনি সোমবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, চলতি মাসে নতুন মহড়া ও যুদ্ধ মহড়ার আয়োজন করবে ইরান, যার মধ্যে ‘ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সিটি’ উন্মোচিত হবে। এর মধ্যে ভূগর্ভে সংরক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্র এবং দক্ষিণ ইরানে জাহাজে থাকা আরেকটি স্থাপনা রয়েছে।
ইরানের বাসিজ (স্বেচ্ছাসেবক) বাহিনী শুক্রবার রাজধানী তেহরানে ১ লাখ ১০ হাজার সদস্যের একটি বড় মহড়া দিয়েছে বলে জানিয়েছে তাসনিম নিউজ। বার্তা সংস্থাটি লিখেছে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সম্প্রতি বেশ কয়েকটি যুদ্ধ মহড়া চালিয়েছে।
সিএনএন বলছে, লেবানন, গাজা ও ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত বাহিনী ইসরাইলের আক্রমণের মুখে পড়লেও এবং সিরিয়ার নেতা বাশার আল আসাদ সরকারের পতন ঘটলেও ইরান এ অঞ্চলে ক্ষমতা হারায়নি, সেটাই দেখাতে চায় দেশটি।
সালামি বলেন, ‘অন্য কোনো দেশের পদক্ষেপের ভিত্তিতে আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা বাইডেনের!
ইসরাইল গত অক্টোবরে জানিয়েছিল, ইসরাইলের ওপর ইরানের আগের হামলার জবাবে তারা দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন স্থাপনা ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় হামলা চালিয়েছে।
ওই সময় ইসরাইলের হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বর্ণনা করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, ‘আত্মরক্ষার অধিকার তারা রাখে’।
]]>