উত্তেজনার মধ্যে ‘ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার’ প্রদর্শন করলো ইরান

৩ ঘন্টা আগে
ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারের প্রদর্শনী করেছে ইরান। সংরক্ষণাগারে ‘নতুন বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র’ তৈরির দাবি করেছে দেশটি।

 ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) বরাতে তাসনিম নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর সিএনএনের।

 

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবিতে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, আইআরজিসির কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ ওই সংরক্ষণাগার পরিদর্শন করছেন।

 

হাজিজাদেহ ওই স্থানটিকে ‘সুপ্ত আগ্নেয়গিরি’ বলে বর্ণনা করেছেন বলে তাসনিমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

 

ইরানের আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ জানিয়েছে, গত অক্টোবর ও এপ্রিলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরান যে অভিযান চালিয়েছে, তার একাংশ পরিচালিত হয়েছে ভূগর্ভস্থ এ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ব্যবহার করে।

 

শুক্রবার ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আবাদানে এক অনুষ্ঠানে সালামি ঘোষণা করেন, আইআরজিসি অ্যারোস্পেস ফোর্স ‘নতুন বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র’ তৈরি করছে।

 

আরও পড়ুন: কেন রাজধানী সরিয়ে নিচ্ছে ইরান?

 

তাসনিমের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, আইআরজিসির মুখপাত্র জেনারেল আলী মোহাম্মদ নাঈনি সোমবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, চলতি মাসে নতুন মহড়া ও যুদ্ধ মহড়ার আয়োজন করবে ইরান, যার মধ্যে ‘ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সিটি’ উন্মোচিত হবে। এর মধ্যে ভূগর্ভে সংরক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্র এবং দক্ষিণ ইরানে জাহাজে থাকা আরেকটি স্থাপনা রয়েছে।

 

ইরানের বাসিজ (স্বেচ্ছাসেবক) বাহিনী শুক্রবার রাজধানী তেহরানে ১ লাখ ১০ হাজার সদস্যের একটি বড় মহড়া দিয়েছে বলে জানিয়েছে তাসনিম নিউজ। বার্তা সংস্থাটি লিখেছে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সম্প্রতি বেশ কয়েকটি যুদ্ধ মহড়া চালিয়েছে।

 

সিএনএন বলছে, লেবানন, গাজা ও ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত বাহিনী ইসরাইলের আক্রমণের মুখে পড়লেও এবং সিরিয়ার নেতা বাশার আল আসাদ সরকারের পতন ঘটলেও ইরান এ অঞ্চলে ক্ষমতা হারায়নি, সেটাই দেখাতে চায় দেশটি।

 

সালামি বলেন, ‘অন্য কোনো দেশের পদক্ষেপের ভিত্তিতে আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়নি।’

 

আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা বাইডেনের!

 

ইসরাইল গত অক্টোবরে জানিয়েছিল, ইসরাইলের ওপর ইরানের আগের হামলার জবাবে তারা দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন স্থাপনা ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় হামলা চালিয়েছে।

 

ওই সময় ইসরাইলের হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বর্ণনা করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, ‘আত্মরক্ষার অধিকার তারা রাখে’।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন