৭৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন পারভেজ হোসেন ইমন।
মিরপুরে চিটাগংকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফে। ১২১ রানের জুটি হয় তাদের মধ্যে। ফরচুন বরিশালের কাইল মেয়ার্সের করা প্রথম ওভারে ৫ রান তুলেন খাজা নাফে, দুই ওভার শেষে সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২। এরপর স্ট্রিয়ারিং নিজ হাতে নেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার দুই চারে তৃতীয় ওভারেই আসে ১১ রান।
পরের ওভারে আরও একটু সরস হন কিংস ওপেনার, তানভীর ইসলামকে টার্গেট বানিয়ে ওই ওভারে চিটাগং তুলে ১৮। পারভেজ ওই ওভারে ২টি ছক্কা ও একটি চার মারেন। ৫ ওভার শেষে ৫১ রান করা চিটাগং পরের তিন ওভারে তুলে ২১। নবম ওভার থেকে আবার হাতখুলে খেলতে থাকেন দলটির দুই ওপেনার। ইবাদত হোসেনের ওভারে নাফে ৪৪ বলে ৬৬ রান করে আউট হলে ওপেনিং জুটি ভাঙে। ৭টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কা মারেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন: বিপিএল বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে: বিশ্ব ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন
উইকেট হারালেও মোমেন্টাম নষ্ট করেনি চিটাগং। ওয়ানডাউনে নামা গ্রাহাম ক্লার্ক বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন। এরমধ্যেই ১৬তম ওভারে তানভীর ইসলামের ওপর দিয়ে ২২ রান আদায় করে নেয় চিটাগং। তানভীরের প্রথম ওভারের মতো এই ওভারেও ইমন ২টি ছক্কা মারেন। সেই ইমন ১৭তম ওভারে ৪ বল মোকাবিলা করে মাত্র ২ রান করতে সক্ষম হন, ওই ওভারে রান আসে মাত্র ৪।
ইমন শেষ দিকে ধীরগতিতে খেললেও ক্লার্কের বিধ্বংসী ইনিংসে তাদের মধ্যে ৭০ রানের জুটি হয়। ক্লার্ক ২৩ বলে ৪৪ রান করে রানআউট হন। তিনি আউট হন ১৯.২ ওভারে, দলীয় ১৯০ রানে। শেষ ৪ বলে স্কোর বোর্ডে মাত্র ৩ রান যোগ করতে সক্ষম হয় চিটাগং। মোহাম্মদ আলী ৪ ওভারে খরচ করেন ২১ রান, তানভীর ২ ওভারে দেন ৪০।