মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চের ১৮ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশ করা হয়।
২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার পরের বছর অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি ‘স্পষ্টীকরণ’ পরিপত্রে বলা হয়েছিল, একই পদে কর্মরত কোনো কর্মচারী দুই বা ততোধিক উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল)/সিলেকশন গ্রেড পেয়ে থাকলে, তিনি উচ্চতর গ্রেড পাবেন না। তবে এরই মধ্যে একটিমাত্র টাইম স্কেল অথবা সিলেকশন গ্রেড পেলে নতুন স্কেলে শুধু একটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন। পরিপত্রটি জারি হওয়ার পর সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরিপত্রের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্টে একাধিক রিট করেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
আরও পড়ুন: উচ্চতর গ্রেড নিয়ে ১৫ লাখ চাকরিজীবীর জন্য সুখবর
ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল নিষ্পত্তি করে গত ৩০ এপ্রিল রায় দেয় বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ। সেখানে হাই কোর্টের রায় সংশোধন করে দেয়া হয়।
সংশোধনে স্পষ্টীকরণ–সংক্রান্ত পরিপত্রের প্যারা-গ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ফলে ২০১৫ সালের জাতীয় পে–স্কেলের উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতাসংক্রান্ত প্যারা-৭ যেমন আছে, তেমনই থাকবে।
স্পষ্টীকরণ পরিপত্রের প্যারা-গ-এর কারণে দুটি উচ্চতর গ্রেড পাওয়ায় যে প্রতিবন্ধকতা, তা এখন আর থাকছে না। অর্থাৎ যারা ২০১৫ সালের আগে একটা টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছেন, তাদের দুটি উচ্চতর গ্রেড পেতে আর কোনো বাধা থাকছে না।
রিটকারীদের আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের ফলে ১৫ লাখের মতো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুটি করে উচ্চতর গ্রেড পেতে বাধা কাটল।