স্লুইস গেটের বাঁধ ভেঙে জলাবদ্ধতার শঙ্কা, রাতেই সংস্কার সম্পন্ন

৩ ঘন্টা আগে
খুলনা মহানগরের বিভিন্ন ড্রেন ও খালের পানি শহর থেকে বের হওয়ার অন্যতম মাধ্যম রূপসা নদী। তবে নদীর সঙ্গে সংযুক্ত মতিয়াখালি খালের মুখে নির্মাণাধীন স্লুইস গেটের সামনের বাঁধ ভেঙে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দেয়। এতে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) প্রশাসকের নির্দেশে বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতেই বাঁধটি সংস্কার করা হয়েছে।

রাত ১২টার আগে নদীতে জোয়ার আসার আগেই কেডিএর পক্ষ থেকে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ বালুর বস্তা, বল্লি ও টিনের ড্রাম ব্যবহার করে মেরামত করা হয়।


এ কাজে যৌথ বাহিনী, সচেতন এলাকাবাসী, গণমাধ্যম, কেসিসির সচিব ও প্রধান প্রকৌশলী, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিদার হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী মনির, কনজারভেন্সির বাবু, নাজমুল, শহিদুল, কেডিএর উপসহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদসহ অনেকে বিকাল ৫টা থেকে রাত অবধি উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন। দ্রুত সংস্কারের ফলে আপাতত জলাবদ্ধতার শঙ্কা কেটে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।


দীর্ঘদিন ধরে খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। এর অংশ হিসেবে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) মতিয়াখালি খালের মুখে একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্স এ কাজ বাস্তবায়ন করছে।


আরও পড়ুন: খুলনায় অকার্যকর দুই শতাধিক স্লুইস গেট, জলাবদ্ধতায় হুমকিতে কৃষি


স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্লুইস গেট ও সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে। বাঁধ থাকলেও এর নিচে পাইপ দিয়ে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় জোয়ারের পানিতে এলাকাজুড়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।


স্থানীয় বাসিন্দা শওকত আলী বলেন, ‘গেটের কাজ বন্ধ হয়ে আছে মাসের পর মাস। এখন বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জোয়ার এলেই পানি ঢুকবে। আমরা খুব বিপদে পড়েছি।’


এলাকার গৃহবধূ লায়লা খাতুন বলেন, ‘আমাদের বাড়ির চারপাশে আগে থেকেই পানি উঠেছিল, এখন তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’


আরও পড়ুন: মহেশপুরে কালভার্টের মুখে বাঁধ দিয়ে মাছের খামার, জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা


ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, ‘প্রতিদিন দোকানে পানি ঢোকে কি না সেই দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।’


কেডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাহবুব ব্রাদার্সের ধীরগতির কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আপাতত কীভাবে কাজ শেষ করা হবে তা নির্ধারিত হয়নি। তবে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়।


খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর মোল্লা মারুফ রশিদ বলেন, ‘দ্রুত সময়ে বাঁধ মেরামত হওয়ায় আপাতত জলাবদ্ধতার শঙ্কা কেটে গেছে। সবাই মিলে কাজ করায় আমরা বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছি।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন