১৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান সিপিবির

১ সপ্তাহে আগে
সংস্কারের কথা শব্দ চয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে রাজনৈতিক দল ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির আয়োজিত সমাবেশে তারা এ আহ্বান জানান।

 

এ সময় বিগত আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করে নেতারা বলেন, বাম দলগুলোকে এক হয়ে দেশকে রক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। 

 

নিত্যপণ্যের দাম কমানো, জান-মালের নিরাপত্তা, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণাসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয় সমাবেশে।

 

আরও পড়ুন: জামায়াত ক্ষমতা পেলে দেশ আমূল পরিবর্তন হবে: সেলিম উদ্দিন

 

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, জনজীবনের সংকট নিরসন, জান-মালের নিরাপত্তায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করুন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনিনির্ষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। সংস্কারের কথা শব্দ চয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে রাজনৈতিক দল ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সুনিদিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

শাহ আলম বলেন, বিজয়ের পর পরাজিত শক্তিসহ নানা অপশক্তি নানা যড়যন্ত্রে সক্রিয় থাকে। তাদের পরাজিত করে গণতন্ত্রের যাত্রা নিশ্চিত করতে হবে।

 

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বাজার ব্যবস্থায় এখনো হাতে দেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। পতিত সৈরাচার অপশক্তি থেকে আমাদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। ভারত বাংলাদেশের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। তাই তারা তাদের লোক ক্ষমতায় বসাতে চায়। বাম দলগুলোকে এক হয়ে দেশকে রক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

 

আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র চান হাসনাত

 

প্রিন্স বলেন, অরাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে যেন না পারে সেজন্য দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানাই।

 

তিনি আরও জানান, আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় এবং ঐক্য গড়ে তোলার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

এ ছাড়া আগামী ২০ থেকে ২৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয় সমাবেশ থেকে। পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ শেষে লাল পতাকা মিছিল শাহবাগ হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন