শুরুতে টানা দুই ম্যাচ হেরে মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়েছে আগেই। আজ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশের জন্য স্রেফ নিয়মরক্ষার। মূল পর্বে খেলতে না পারলেও শেষ ম্যাচে অন্তত সান্ত্বনার জয় পেল বাংলাদেশ।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পায় সিঙ্গাপুর। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা। বিরতির পর অবশ্য আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ৩০ বছরের সেরা সাফল্য এনে দেয়া কোচকে বরখাস্ত করল নটিংহ্যাম
ম্যাচের ৭০ মিনিটে ভাঙে ডেডলক। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে জোরাল শটে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন ফাহামেদুল ইসলাম। তার মিনিট দুয়েক পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আল আমিন।
৮০তম মিনিটে কর্নার পায় সিঙ্গাপুর, তাদের কর্নার রুখে দিয়ে দ্রুত পাল্টা আক্রমণে উঠে বাংলাদেশ। সতীর্থের ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে কোনাকুনি শটে ব্যবধান আরও বাড়ান মহসিন আহমেদ।
তার ২ মিনিট পর সিঙ্গাপুরের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন শেখ মোরসালিন। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে এক ছুটে ডি-বক্সের কাছে চলে যান মোরসালিন। বক্সের ঠিক সামনে একজনকে কাটিয়ে নিচু শটে বল জালে জড়ান তিনি। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে একটি গোল শোধ দেয় সিঙ্গাপুর। সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন নাদিম রাহিম।
আরও পড়ুন: চুল পড়া রোধে ওষুধ ব্যবহার করে ১০ মাস নিষিদ্ধ আলভারেজ
ভিয়েতনামের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে বাছাই পর্ব শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ইয়েমেনের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে ১-০ ব্যবধানে হারে মোরসালিনরা। ওই হারেই মূল পর্বের খেলার লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে তারা।
২০২৬ সালের জানুয়ারিতে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ। ১১ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এবং ১১টি রানার্স আপ দলের মধ্যে সেরা চারটি দল খেলবে সেই আসরে।
]]>