শনিবার (৩ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল।
তিনি বলেন, ‘২১ জুলাই ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনার পর পুরো কলেজ ক্যাম্পাস শোক ও বেদনায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থার উন্নয়ন ছাড়া কলেজ প্রশাসনের কাছে অন্য কোনো কিছু অগ্রাধিকার নয়।’
শাহ বুলবুল আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, এ জন্যই সীমিত পরিসরে ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কলেজে এসে শিক্ষকদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়ের সুযোগ পাবে, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাবে। মানসিক প্রশান্তি ফিরে পেতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।’
আরও পড়ুন: ‘সেদিন নাকি ও স্কুলে আসতে চায়নি, ওর মা বলল’
কলেজে দোয়া মাহফিলের আয়োজন অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শনিবারের মতো আজ রোববারও একই কর্মসূচি চলবে। পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর সহায়তায় একটি চিকিৎসা ক্যাম্প চালু রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণরত যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় প্রথমে ২০ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিল শিশু। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে পৌঁছায়। মারা যান বিমানের পাইলট তৌকির ইসলামও।
এই দুর্ঘটনার পর মাইলস্টোন কলেজ কর্তৃপক্ষ তিন দফায় ছুটি ঘোষণা করে। সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজটি ২ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ছিল। এর মধ্যেই চালু ছিল প্রশাসনিক কার্যক্রম, আহতদের সহায়তায় গঠন করা হয় একটি কন্ট্রোল রুম।
]]>