১১ মামলার আসামিকে হত্যা, মরদেহ ফেলতে এসে আটক ২

২ দিন আগে
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পলোয়ানের পোল এলাকার একটি খাল থেকে জাকির হোসেন (৩৮) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মরদেহ ফেলতে আসা গাড়ি ধাওয়া করে আটক দুই জনকেও পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে বাংলা বাজার এলাকায় মরদেহ ফেলতে আসা ব্যক্তিদের আটক করে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা।

 

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত জাকির হোসেন সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের রফিক উল্যাহ মেস্ত্রীর ছেলে। সে স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ জাকির বাহিনীর প্রধান। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্য থানায় মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে জাকিরের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির একটি ভেকু মেশিন (মাটি কাটার মেশিন) পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর কয়েকজন ব্যক্তি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে জাকিরের বাড়িতে গিয়ে তাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে আসে। পরে বিকেলে অটোরিকশা থেকে পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার পলোয়ানপোল এলাকার খালের মধ্যে জাকিরের মরদেহ ফেলে দেয়ার সময় স্থানীয়রা তা দেখে ফেলে।

 

এ সময় স্থানীয়রা অটোরিকশাটি ধাওয়া করে এবং বাংলা বাজার এলাকায় গিয়ে সেটিকে আটক করে। পরে অটোরিকশাচালক ও ভেতরে থাকা বাবু (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।

 

আরও পড়ুন: ঢামেকে রক্তাক্ত মরদেহ রেখে গেলেন যুবক, যা জানালো পুলিশ 

 

খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। একইসসঙ্গে খাল থেকে জাকিরের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

 

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলম বলেন, নজরুলের সঙ্গে জাকিরের ঝামেলার কথা আমরাও শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তারা ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে। নিহত জাকিরের বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অন্য থানায় মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।

 

এদিকে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক দুই জনকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন