কোচ বদলের পর থেকেই যেন বদলে গেছে বসুন্ধরা কিংস। একের পর এক ম্যাচ তারা হেরেই চলছে। এ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ ও ফেডারেশন কাপ মিলিয়ে ছয় ম্যাচের তিনিটিতেই হেরেছে তারা। মৌসুম শুরুর আগে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছিল। সব মিলিয়ে দেশে-বিদেশে ৯ ম্যাচের ৬টিতেই হেরেছে টানা ছয়বারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
প্রিমিয়ার লিগে গত ১০ বারের সাক্ষাতে কিংসকে হারাতে পারেনি আবাহনী। ১০ বারের দেখায় মাত্র দুটিতে ড্র করতে পেরেছিল আকাশী জার্সিধারীরা। অবশেষে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে জয় পেলো আবাহনী। তাও আবার বিদেশি কোনও খেলোয়াড় ছাড়াই।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে মোহামেডানের কাছে হেরেছিল কিংস। তৃতীয় ম্যাচে জয় পায় রহমতগঞ্জের বিপক্ষে। চতুর্থ ম্যাচে সেই কুমিল্লার মাঠেই হারলো আবাহনীর কাছে। এর আগে সর্বশেষ ১৭ ডিসেম্বর ফেডারেশন কাপে ফর্টিস এফসির কাছে হেরেছে কিংস।
আরও পড়ুন: টানা দ্বিতীয়বার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকে বছর শেষ করল আর্জেন্টিনা
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই আবাহনীর কাছে গোল হজম করে কিংস। শাহরিয়ারের ক্রস থেকে সুমন রেজার হেডে গোলটি পায় আবাহনী। নিজের সাবেক দলের বিপক্ষে গোলটা জাতীয় দলে আপাতত ব্রাত্য সুমন রেজার কাছে নিজেকে প্রমাণের। কিন্তু গোল শোধের জন্য লম্বা সময় পেয়েও কিংস সেটা পারেনি।
সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল ৫২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে। কিন্তু আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দিয়েছেন কিংসের ব্রাজিলিয়ার মিডফিল্ডার ও অধিনায়ক মিগুয়েলের শট। শুধু পেনাল্টি আটকানোই নয়, বারের নিচে পুরো ম্যাচেই আস্থার প্রতীক ছিলেন মিতুল। দলকে তিন পয়েন্ট এনে দিয়ে তিনিই হয়েছেন ম্যাচসেরা।
দিনের আরেক ম্যাচে পুলিশকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে মোহামেডান। হার দিয়ে লিগ শুরুর পর টানা দুই জয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিল পুলিশ। ম্যাচের শুরু থেকেই মোহামেডানের চোখে চোখ রেখে লড়তে থাকে পুলিশ।
তবে তাদের রক্ষণে চিড় ধরে ৩১তম মিনিটে। মোজাফ্ফর মোজাফ্ফরভের কর্নারে অনেকটা লাফিয়ে হেড করেন এমানুয়েল টনি। ঝাঁপিয়ে পড়েও আটকাতে পারেননি গোলরক্ষক রাকিবুল হাসান তুষার।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে হামজার খেলা নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি
৩৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা রিয়াদুল হাসান রাফির আড়াআড়ি ক্রসে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে স্লাইড করেন এমানুয়েল সানডে, এবারও পরাস্ত পুলিশ গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আল আমিনের একক প্রচেষ্টায় গোলে ফেরে পুলিশ। এমানুয়েল টনিকে কাটিয়ে বাকি ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন আল আমিন।
৭১তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় মোহামেডান। সতীর্থদের সাথে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে মোজফফরভ লম্বা করে বাড়ান। বাকি কাজটা সারেন অধিনায়ক অধিনায়ক সুলেমানে দিয়াবাতে।