বিডিআর বিদ্রোহ: সব কারাবন্দির মুক্তি দাবি স্বজনদের

১১ ঘন্টা আগে
বিডিআর হত্যা মামলার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রহসন চলছে বলে জানিয়েছেন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত সদস্য ও ভুক্তভোগী পরিবার। তাই সব কারাবন্দিদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা বাতিলেরও দাবি তুলেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তোলেন তারা।

 

বক্তারা বলেন, কেরানীগঞ্জ কোর্ট বসার কথা ছিল, পরে শুনেছি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে বসবে। কিন্তু আজকে এখন পর্যন্ত কোথায়ও কোর্ট বসেনি। আইনজীবীদেরও কিছু জানানো হয়নি। যাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন তারা। 
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, দেশবিরোধী একটি চক্রান্তের শিকার হয়েছেন বিডিআর সদস্যরা। কারাবন্দিদের মুক্তিসহ ৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তাদের।

 

এদিকে, আজ ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঠটি ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে সকাল থেকে বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন তারা।

 

আরও পড়ুন: আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে হচ্ছে না বিচারকাজ, সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা

 

সড়ক অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মাদ্রাসার মাঠটি তিন মাসের জন্য নেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পরও মাঠটি ফিরিয়ে না দেয়া এবং গতকাল রাতে কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে মাদ্রাসার মাঠের গেটের তালাভাঙার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দেন এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানের সামনে এবং সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

 

এদিকে সকাল বেলা ১১টার দিকে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জজ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের বাঁধা মুখে পড়েন। পরে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর শুধুমাত্র জজকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। অবশেষে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচার কাজ সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসনে বিচারক। এরপর সড়কের অবরোধ তুলে নেনে শিক্ষার্থীরা।

 

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন