এর আগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এ দিকে জেলায় উত্তর পশ্চিম থেকে বয়ে আসছে পাহাড়ি হিম বাতাস। বুধবার রাত থেকে আচ ভোর পর্যন্ত কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ঝলমলে রোদ।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় হিম বাতাস। রাত বাড়তে থাকলে বাড়ে শীতের প্রকোপ। তবে সকাল ৯টার পর থাকছে না ঠান্ডার প্রভাব। দিনে-রাতে দুই রকম আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি, কাশিও শ্বাসকষ্টে ভুগছে মানুষ।
আরও পড়ুন: ৮ দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
আবহাওয়া অফিস বলছে, আকাশ পরিষ্কার থাকায় কুয়াশা কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি ও রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পাহাড়ি হিম বাতাস
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন সময় সংবাদকে বলেন, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলেও সন্ধার পর থেকে সকাল ৯টায় পর্যন্ত তাপমাত্রা কমে আসছে। এতে করে এ সময় অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্খা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী সময় সংবাদকে বলেন, শীত মৌসুমকে ঘিরে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিম্নআয়ের মানুষের জন্য শীতবন্ত্র হিসেবে সরকারি ভাবে ২ হাজার কম্বল পাওয়া গেলেও, পর্যাপ্ত না হওয়ায় আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে।