মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে টাইব্রেকারে বসুন্ধরাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে আবাহনী। প্রথম কোয়ালিফায়ার এবং নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। এরপর আবাহনীর গোলকিপার মিতুল মারমার নৈপুণ্যে টাইব্রেকারে জয় তুলে নেয় আবাহনী।
তবে জয়টা একদমই সহজ ছিল না আবাহনীর জন্য। ম্যাচের ৪২ মিনিটে ডিফেন্ডার আসাদুজ্জামান বাবলু দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে বাকিটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় আবাহনীকে। এখানেই শেষ নয়, ম্যাচের ৫৭ মিনিটে গোল খেয়ে আগে পিছিয়েও গিয়েছিল আবাহনীই। সেখান থেকে ঘুরে এসে জয় তুলে নিয়েছে দলটি। তাও কিনা আবার শক্তিশালী বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে।
এমন জয়ের পর নিজের কৌশল নিয়ে আবাহনীর কোচ মারুফুল বলেন, ‘দশ জন হওয়ার পর মিডফিল্ড কমিয়ে ডিফেন্স ঠিক রাখলাম। এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর থ্রি-ব্যাক করেছি। সমতা ফিরে আসার পর ফোর ব্যাকে গিয়েছি। দশ জন হওয়ার আগে আমরা আক্রমণাত্মক মুডে ছিলাম, এরপর লো ব্লক লো ডিফেন্ডিংয়ে যেতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে কিংসকে হারিয়ে ফাইনালে আবাহনী
আবাহনী প্রথম লেগ খেলেছে বিদেশি ফুটবলার ছাড়াই। দ্বিতীয় লেগে দুইজন বিদেশি যুক্ত হয়েছে। দুই বিদেশি নিয়ে কোচের মূল্যায়ন, ‘আগে আমরা গোলের সুযোগ কম তৈরি করতে পারতাম এবং ম্যাচে নিয়ন্ত্রণও ছিল কম। আজ দুই বিদেশি যোগ দেওয়ায় এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছি। এই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট অবশ্যই রাফায়েলের ফ্রি-কিক। যেখান থেকে গোল পেয়েছি।’
জাতীয় দলের এখন নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা। তবে এই গোলরক্ষক আজ প্রথম গোল হজম করায় ভুল দেখেছেন কোচ, ‘ডিফেন্সের জনিকে ট্র্যাক করা প্রয়োজন ছিল। মিতুল কিছু স্টেপ আগে থাকলে এটা প্রতিহত করতে পারত।’
২২ এপ্রিল ময়মনসিংহে আবাহনী ফাইনাল খেলবে। সেই ফাইনালের আগে দোয়া চাইলেন আবাহনীর কোচ, ‘ময়মনসিংহে খেলোয়াড় হিসেবে আমার শিরোপা রয়েছে। কোচ হিসেবে যেন প্রথম শিরোপা পাই এজন্য সবার দোয়া প্রার্থী।’