রাজধানীর উত্তরা এলাকার বাসিন্দা মামুন, সম্প্রতি তার প্রিপেইড মিটারে এক হাজার টাকা রিচার্জ করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বিভিন্ন ভ্যাট ট্যাক্স বাবদ কেটে নেয়া হয় আড়াইশো টাকা। তারপর মাত্র তিনদিন বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাথায় বাকিটা শেষও হয়ে যায়। যেখানে একই বিদ্যুৎ ব্যবহারে আগে পোস্ট মিটারে ত্রিশ দিনে তার বিল আসতো ৩ হাজার টাকা।
মামুনের মতো এমন অস্বাভাবিক বিলের কবলে দেশের হাজার হাজার মানুষ। প্রিপেইড মিটার বসানোর পর থেকেই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল কাটার অভিযোগ গ্রাহকদের। আপত্তি ডিমান্ড চার্জ নিয়েও।
তারা জানান, আগে যেখানে বিদ্যুৎয়ের বিল আসতো হাজার থেকে ১২০০ টাকা। এখন সেখানে বিল আসে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।
গ্রাহকদের অভিযোগ, এদিকে টাকা রিচার্জ করলে অন্যদিক দিয়ে শেষ হয়ে যায়। হাজার টাকা রিচার্জ করলে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মিটারে যোগ হয়, বাকি টাকা হাওয়া হয়ে যায়। নানান রকম চার্জ কাটা হলেও বেশিরভাগের মানেই জানেন না গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন: ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল তৈরির অভিযোগ পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে, ভোক্তায় লিখিত অভিযোগ
সার্বিক বিষয়ে ডেসকোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও বারবার সেখান থেকে ফিরে আসতে হয়।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলমের মতে, ভোক্তাদের সঙ্গে চরম খামখেয়ালি আচরণ করছে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। অচিরেই গ্রাহকদের অভিযোগ আমলে নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানান তিনি।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, ‘অভিযুক্তের কাছ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা ও সমাধান আদায় না হওয়া বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ব্যর্থতা। এবং গ্রাহকের সঙ্গে অবিচার ছাড়া কিছু নয়।’
মূলত বিদ্যুতের অপচয় নিয়ন্ত্রণ এবং ভুতুড়ে বিলের হয়রানি থেকে গ্রাহকদের মুক্তি দিতে ২০০৪ সাল থেকে সারা দেশে প্রিপেইড মিটার বসানো শুরু হয়। তবে এর মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ভোগান্তি দূর হলেও সমাধান হয়নি ভূতুড়ে বিলের।

১ সপ্তাহে আগে
৪








Bengali (BD) ·
English (US) ·