হোয়াইট হাউসে যে সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ট্রাম্প-সৌদি যুবরাজ বৈঠকে

১ সপ্তাহে আগে
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে। আলোচ্য সূচিতে থাকবে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা, পারমাণবিক কর্মসূচি ও এআই প্রযুক্তি ইস্যু।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বৈঠক ঘিরে জমেছে কূটনৈতিক উত্তেজনা। গাজা যুদ্ধবিরতির পর এটাই দুই নেতার প্রথম পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক আলাপ। ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিতর্ক পেরিয়ে ক্রাউন প্রিন্সের এ সফর ওয়াশিংটনে তার ‘ফিরে আসা’র প্রতীক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

 

ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় ফেরার পর প্রথম বিদেশ সফরেই গিয়েছিলেন রিয়াদে। তখন ঘোষণা হয় ৬০০ বিলিয়ন ডলারের সৌদি বিনিয়োগ পরিকল্পনা। সালমানের সফরে দুই পক্ষের আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, নিরাপত্তা, এবং পারমাণবিক প্রযুক্তি। মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে দুই দেশই এসব বিষয়ে অগ্রগতি চাচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের রোডম্যাপ না হলে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না রিয়াদ

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বৈঠকের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য সৌদি–যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা চুক্তি। এমবিএস চাইছেন কাতারকে দেয়া মার্কিন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার মতো সমমানের ডিল—বিশেষত তিন বছর ধরে আলোচনায় থাকা প্রতিরক্ষা চুক্তিকে চূড়ান্ত করতে। ট্রাম্প পাল্টা চাইছেন গাজা পুনর্গঠন ও সিরিয়ার মানবিক সহায়তায় সৌদির বড় আর্থিক অংশগ্রহণ এবং গাজা শান্তি–পরিকল্পনার 'ফেজ টু' এগিয়ে নিতে রিয়াদের রাজনৈতিক সমর্থন।

 

এ পর্যায়ে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের মতো স্তর যুক্ত হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: সৌদির কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি নিয়ে কী বললেন ট্রাম্প?

 

বৈঠকে নতুনভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান। ইসরাইল সৌদিকে এফ–৩৫ বিক্রির বিরোধিতা করছে না, তবে স্পষ্ট শর্ত দিচ্ছে, রিয়াদকে তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের দিকে অগ্রসর হতে হবে। ট্রাম্প বারবার বলেছেন, সৌদি আরব আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগ দেবে। কিন্তু বিশ্লেষকরা জানান, এই বৈঠকে ট্রাম্প সেই প্রতিশ্রুতি পাবেন না।

 

ইসরাইল–সৌদি সমীকরণ ছাড়াও আলোচনায় থাকবে সৌদির বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি, পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে মার্কিন সংশয় এবং মার্কিন এআই উন্নয়ন ও ‘চিপ ওয়ার’ এ সৌদির অবস্থান। ‘ভিশন ২০৩০’ এর আওতায় রিয়াদ নিজস্ব প্রযুক্তি ও এআই শিল্প তৈরিতে এগোচ্ছে, আর ট্রাম্প চাচ্ছেন সৌদির বড় বিনিয়োগকে যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক রাখতে। তবে তেল উৎপাদন ও মানবাধিকার ইস্যুতে মতভেদ থাকলেও দুই পক্ষই বৈঠকটিকে ‘খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ’ করতে আগ্রহী।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন