হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-কার্নি বৈঠক, কী কথা হলো

২৩ ঘন্টা আগে
শুল্ক ইস্যুতে কানাডার সঙ্গে আলোচনা জটিল হলেও ফলাফল ইতিবাচক হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। এ সময় ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন কার্নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন জয় করার চেষ্টা করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। লাল টাই গলায় ঝুলিয়ে নিজের পোশাকেও রেখেছেন রিপাবলিকানদের ছোঁয়া। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন কার্নি। উদ্দেশ্য, মার্কিন শুল্ক এবং দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে সমঝোতায় আসা।

 

ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ সময়ের বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন কার্নি। এসময় ট্রাম্প বলেন, ওয়াশিংটন এবং অটোয়ার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্য বিদ্যমান হলেও তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও আলোচনা করেন তারা।

 

ট্রাম্প বলেন, চুক্তির পূনর্মূল্যায়ন করবেন তিনি। নতুন চুক্তি করতেও হোয়াইট হাউজ আগ্রহী বলে উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও, দুই দেশের সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আনতে আলোচনায় বসার প্রস্তাব উঠে আসে। যেখানে শুল্ক কমানোর সুযোগ তৈরি হতে পারে বলেও ইঙ্গিত করেন ট্রাম্প।

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্প কি শান্তিতে নোবেল পাবেন?

 

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠকে কিছুটা শক্ত হতে দেখা গেলেও, এবারের বৈঠকে কার্নির ব্যবহার ছিল একেবারেই উল্টো। ট্রাম্পকেও তার প্রতি প্রসন্নই হতে দেখা যায়। কার্নিকে ‘একজন শক্তিশালী নেতা এবং দক্ষ সমঝোতাকারী’ হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। 

 

ট্রাম্প বলেন, কিছু জটিল বিষয়ে আলোচনা হলেও কার্নির দল ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে দেশে ফিরবেন। তবে আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের জন্য ক্রমেই কার্নির ওপর চাপ বাড়ছে। এ অবস্থায়, ব্যক্তিগত পর্যায়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে ধারণা তাদের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন