বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। তবে স্বাধীনভাবে এই ভিডিও যাচাই করা যায়নি।
দুর্নীতি ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিক্ষোভে ১৯ জনের মৃত্যু এবং ৪০০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার পর, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। সামাজিক মাধ্যমে দেয়া নিষেধাজ্ঞার ফলে এই বিক্ষোভ শুরু হয়, যা পরবর্তীতে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কিন্তু জনসাধারণের ক্ষোভ বাড়তে থাকে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ওলির বাসভবন আগুনে পুড়ছে এবং সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারগুলো বাড়ির ওপরে ঘোরাফেরা করছে - যা সমন্বিতভাবে তাকে উদ্ধারেরই ইঙ্গিত দেয়। খবর রিপাবলিক ওয়ার্ল্ডের।
আরও পড়ুন: নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন, দগ্ধ স্ত্রীর মৃত্যু
তবে হেলিকপ্টারে করে তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যদিও জল্পনা চলছে, চিকিৎসার আড়ালে দুবাইতে অস্থায়ী আশ্রয় চাইছেন কেপি শর্মা।
এ আলোচনার সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পদত্যাগ করার আগেই সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে কথা বলেছেন কেপি শর্মা ওলি এবং পরিস্থিতির অবনতিশীলতার দায়িত্ব নেয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করেন।
খবরে আরও দাবি করা হয়, ওলির অনুরোধের জবাবে জেনারেল সিগডেল বলেন যে, তিনি (ওলি) ক্ষমতা ছাড়লেই কেবল সেনাবাহিনী দেশকে স্থিতিশীল করতে পারবে। সেনাবাহিনীর সূত্র আরও জানিয়েছে, কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করার পর ‘সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করতে প্রস্তুত’।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চিঠিতে যা লিখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী
সূত্রের দাবি, পদত্যাগের পর ওলি চিকিৎসার অজুহাতে দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, যেখানে বেসরকারি বিমান সংস্থা হিমালয় এয়ারলাইন্সকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
]]>