হৃদয়-মিরাজের ফিফটিতে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ

২৩ ঘন্টা আগে
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা ভালো শুরু পায়নি বাংলাদেশ। দলীয় ১৮ রানের মাথায় তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় তারা। ৫৩ রান তুলতেই টপ-অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। এরপর তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটিতে সেই চাপ সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে ২২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

বুধবার (৮ অক্টোবর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ভালো শুরুর আভাস দিয়েও ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম। ৫৩ রানেই টপ-অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ। 

 

দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসান স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলছিলেন। কিন্তু পুরনো ভূত মাথাচাড়া দিতে সময় লাগেনি। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে অফস্টাম্পের বাইরের বলে ভুগছিলেন তামিম। দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলেও জীবন পেয়েছেন। কিন্তু সুযোগ আর কাজে লাগাতে পারলেন কই! এক বল পরেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন এই বাঁহাতি। এরপর ক্রিজে এসে দ্রুতই ফিরে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। 

 

১৮ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে ফিরে গেছেন তানজিদ তামিম। একবার জীবন পেয়েও ১০ বলে করেছেন ১০ রান।  ওমরজাইয়ের হার্ড লেন্থের বল তামিমের ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে রহমানউল্লাহর হাতে জমা পড়ে।  

 

আরও পড়ুন: পুরো অ্যাশেজই মিস করতে পারেন কামিন্স

 

টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলের বাইরে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডে সিরিজে ভালো শুরু পেলেন না। ওমরজাইয়ের করা ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়েছেন এই সাবেক অধিনায়ক। তার আগে ৫ বলে করেছেন ২ রান।    

 

ওয়ানডে অভিষিক্ত সাইফ হাসান ক্রিজে জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে। তবে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি সাইফ। ৩৭ বলে ২৬ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটার ফেরেন নাঙ্গেলিয়া খারোতের বলে রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে।  

 

৫৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তখন ম্যাচের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ১৫৪ রানে তাওহীদ হৃদয় আউট হলে ভাঙে তাদের ১০১ রানের জুটি। ৮৫ বলে ৫৬ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। 

 

আরও পড়ুন: সাইফ এখন দেশসেরা, ৮৭ ধাপ এগিয়েছেন নাসুম  

 

এরপর অধিনায়ক মিরাজও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৮৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন রশিদ খানের এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়ে।

 

এরপরই ধস নামে ব্যাটিং লাইনআপে। জাকের আলী, নুরুল হাসান সোহান, তানজিম সাকিবদের কেউই থিতু হতে পারেননি উইকেটে। ১৬ বলে ১০ রান করে রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়েন জাকের। ১৪ বলে ৭ রান করা সোহানকেও একইভাবে আউট করেন এই লেগ স্পিনার। ২৩ বলে ১৭ রান করে আজমতউল্লাহ’র বলে নবির ক্যাচ হয়ে ফেরেন সাকিব।

 

শেষদিকে তানভির ইসলাম দুটি বাউন্ডারি হাঁকান। ১ ছক্কা ও ১ চারে ৮ বলে ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতেই ২২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। আফগানদের হয়ে রশিদ খান ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া গাজানফার ২টি ও নাঙ্গোলিয়া খারোত নেন ১টি উইকেট।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন