গত দশ দিন ধরে জেলাটিতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও রাতের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছিল ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রির ঘরে।
তবে রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এক লাফে তা কমে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৬ শতাংশ; ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে ছিল বিভিন্ন এলাকা। তবে বেলা বাড়তেই দেখা দেয় স্বচ্ছ আকাশ, তীব্র রোদ।
পঞ্চগড় শহরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, ‘দিনে রোদে হাঁটা দায় হয়ে যায়, মনে হয় গরমই পড়ছে। কিন্তু রাতে কমে যায় তাপমাত্রা, ঘুমোতে গেলে কম্বল ছাড়া উপায় থাকে না।’
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা ও লঘুচাপ নিয়ে নতুন বার্তা
আরেক স্থানীয় গৃহবধূ হাসিনা বেগম সময় সংবাদকে জানান, রাতে সবারই গরম কাপড়ই শরীরে রাখতে হচ্ছে। দিনে আবার গরম লাগছে। দিনে আর রাতে তাপমাত্রার এই হেরফের খুবই ভোগাচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় সময় সংবাদকে জানান, শনিবার (২২ নভেম্বর) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রাতে দ্রুত কমে যায়। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রা আরও ৩–৪ ডিগ্রি কমতে পারে। তখন উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, দিনে গরমের কারণে মানুষজন এখনও পাতলা পোশাকেই স্বস্তি পাচ্ছে। তবে রাত হলেই গরম কাপড়, সোয়েটার ও কম্বলের ব্যবহার শুরু হয়েছে ঘরে ঘরে। শীতজনিত রোগের আশঙ্কায় অনেকেই সতর্ক হতে শুরু করেছেন। শীতের এমন বৈচিত্র্যময় আচরণে পঞ্চগড়বাসী এরইমধ্যে শীত মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

১৮ ঘন্টা আগে
১






Bengali (BD) ·
English (US) ·