বুধবার (২৫ জুন) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হিলির কেন্দ্রীয় গোরস্থানের পাশে মাইক্রো গ্রেইন এন্টার প্রাইজ নামে এক আমদানিকারকের গুদামে অভিযান চালিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদ এ সিলগালা করেন।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, নীতিমালায় আমদানিকৃত পণ্য এক মাস মজুত রাখতে পারবেন। এরমধ্যে বিক্রি না হলে কর্তৃপক্ষকে অবগত করে আরও কিছুদিন সময় পাবেন। কিন্তু এখানে তিনি এই নীতিমালা ভঙ্গ করে মেয়াদোত্তীর্ণভাবে আমদানিকৃত চাল ও মশুরডাল মজুত করেছিলেন। এখানে মেয়াদোত্তীর্ণ মজুত ২৭১ টন চাল ও ৪৭ টন মশুরডাল পাওয়া গেছে। এছাড়া ১ হাজার ৯৩৩ টন ধান মজুত রাখলেও এর কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সেই তিনটি গুদাম সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বোরো মৌসুমেও স্বস্তি নেই, হঠাৎ চালের দাম বাড়ায় বিপাকে ভোক্তারা
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদ বলেন, ধান চাল বা আমদানিকৃত কোনো পণ্য আমদানি করলে তার একটা নিয়ম আছে। তিনি কতদিন রাখতে পারবেন। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাল আমদানি করেছেন সেটার মেয়াদ ছিল ৩০ দিন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তিনি গুদামের ৩৭১ মেট্রিক টন চাল অবৈধভাবে মজুত করেছেন। ধান মজুত করেছেন ১ হাজার ৯৩৩ মেট্রিক টন। যার বৈধ কোনো কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। যে কারণে ৩ টি গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। নিয়মিত মামলা দায়ের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।