হিলিতে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার, আমদানিকারদের দাবি ‘আইপি দিলে দাম নামবে ৫০ টাকায়’

৩ ঘন্টা আগে
সরবরাহ কমের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে হুঁ হুঁ করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। ৩-৪ দিনের ব্যবধানে ৬৫ টাকার পেঁয়াজ এখন ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির বাড়তি দামে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ। বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এখনই পেঁয়াজ আমদানির পরামর্শ বন্দরের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের।

হঠাৎ করেই লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) হিলির বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, দাম বাড়ায় কমে গেছে পেঁয়াজের বেচাকেনাও।

 

পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানান, হিলি বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে তা পাবনা ও অন্যান্য মোকাম থেকে আনা হচ্ছে। মোকামগুলোতেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এছাড়া পাতা পেঁয়াজ এখনও পুরোপুরি বাজারে আসেনি, সরবরাহ বাড়লে শুকনা পেঁয়াজের চাহিদা কমবে এবং দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

 

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতা মোকাররম হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেও ৬০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ কিনেছিলাম, এখন দাম ১০০ টাকার উপরে। এমন বৃদ্ধি আমাদের জন্য খুব কষ্টকর। আশা করি ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।’

 

আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা, হঠাৎ কেন দাম বাড়ছে?

 

এদিকে, হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, যদি আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়া হয়, বাজারে সরবরাহ বাড়বে এবং পেঁয়াজের দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে, যা কমে ৫০ টাকার মধ্যেও চলে আসতে পারে। অন্যথায়, দাম আবারও ২০০ টাকার উপরে যেতে পারে। দেশে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার কিছুদিন ধরে আমদানির অনুমতি বন্ধ রেখেছে। গত ৩ মার্চ থেকে আমদানির অনুমতি বন্ধ থাকলেও দেশীয় উৎপাদন বাড়ায় দাম ৪০-৫০ টাকার মধ্যে ছিল।

 

আরেক আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলে গত ১৪ আগস্ট আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। ১৭ আগস্ট থেকে আমদানি শুরু হলেও দুদিন পর ১৯ আগস্ট অনুমতি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম ৬০-৬৫ টাকায় স্থির থাকলেও সম্প্রতি সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বাড়তে শুরু করেছে; যা এখন ১১০ টাকায় পৌঁছেছে। অনুমতি দিলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়বে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। অন্যথায়, দাম আবারও ২০০ টাকার ওপরে চলে যেতে পারে।’

 

হিলি স্থলবন্দরের সংরক্ষক কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, দেশে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সরকার আমদানির অনুমতি নিয়ে ভাবছে। সবশেষ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল আগস্টে, কিন্তু অনুমতি না দেয়ায় এরপর থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। অনুমতি মিললে বাজারে সরবরাহ বাড়বে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন