সোমবার (২৫ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির আমির আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমানের সই করা বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সম্প্রতি ভিকারুননিসা নূন স্কুলে একজন নারী শিক্ষিকা ধর্মপ্রাণ বাইশ হিজাবি ছাত্রীকে ‘জঙ্গি’ অপবাদ দিয়ে ক্লাস থেকে বের করে দেয়া এবং হবিগঞ্জে দাড়ি রাখায় ধর্মপ্রাণ তিন কনস্টেবলকে শাস্তি প্রদান করা ধর্মীয় স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষ রোধ করার স্বার্থে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে গ্রেফতার করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: নবীজির জন্মের পূর্বে আরবের সামাজিক অবস্থা যেমন ছিল
তারা আরও বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতন ঘটলেও কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষ যে দূর হয়নি, উপরোক্ত ঘটনা দুটো তার প্রমাণ। এরইমধ্যে এলজিবিটিসহ কয়েকটি স্পর্শকাতর ইস্যুতে কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষ আবারও মাথাছাড়া দেয়ায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে শুধু ফ্যাসিবাদের পতনের জন্যই নয়, কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষও নির্মূল হতে হবে।
আরও পড়ুন: ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি কবে?
হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইসলামবিদ্বেষ ছড়াতে বিভিন্ন কায়েমি বাম-প্রগতিশীল গোষ্ঠী আবারও তৎপর হয়ে উঠেছে। সংখ্যালঘুদের অধিকারের ব্যাপারে তারা সবসময় সরব থাকলেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব হলে তারা বেমালুম চুপ থাকেন। এটাই তাদের কথিত লিবারেল সেক্যুলারিজম! বিদ্যমান কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষ তাদের এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড চরিত্র নির্মাণে ভূমিকা রেখেছে বলে আমরা মনে করি। আমরা একটি মানবিক, ধর্মপ্রাণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ঘেরাটোপ থেকে তাদের বেরিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাই।