বদর শেখ বলেন, ১৯৮৭ সালে ঘুমের ঘোরে একটি স্বপ্ন দেখি- বিশাল এক মাঠে বড় আয়োজন করে খাওয়া-দাওয়া চলছে। আশেপাশে সাদা কাপড় পরা একদল মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু তারা কিছু খাচ্ছিল না। কারণ জানতে চাইলে তারা উত্তর দেন, তারা মানুষ নয়—রুহ। তাই ভাত খান না।
সেই সময় থেকেই তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ আর কখনো ভাত না খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান বদর।
স্বপ্ন দেখে নেয়া সিদ্ধান্ত আজও মেনে চলছেন বলে দাবি করেন বদর শেখ।
আরও পড়ুন: সার সংকট ও চড়া দামে বিপাকে মেহেরপুরের চাষিরা
থাকার মতো কোনো ঘর নেই, তাই গরুর গোয়ালঘরেই বসবাস করছেন। বয়স ৫০ পেরিয়েছে। বিয়ে করেননি। টানা ৩৮ বছর ধরে রুটি, কলা কিংবা চিড়া-মুড়িই তার প্রধান খাদ্য।
বদর বলেন, ‘ভাত দেখলেই বমি আসে।’
বদর শেখের বড় ভাই কুটি শেখ বলেন, ‘ভাতকে বদর ঘৃণা করে। কেউ ভাত খেতে দিলে সে সেখান থেকে দূরে চলে যায়। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গেলেও ভাত ছুঁয়েও দেখে না।’
বদরের ভাতিজা আলমগীর শেখ জানান, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেছি চাচাকে ভাত খাওয়ানোর জন্য। কিন্তু তিনি কোনোভাবেই রাজি হন না। ভাত দেখলেই রেগে যান।’
]]>