রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালীর সেনবাগে, ২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে হরতাল পালনের সময় তৎকালীন বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের উপর এডিসি হারুন ও বিপ্লবের নেতৃত্বে নৃশংস হামলার বিচার ও তাদের গ্রেফতারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়নুল আবেদিন ফারুক এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আর কষ্ট দিয়েন না। কর্মীদের আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য করিয়েন না।
সেনবাগ পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবদুল হান্নান লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এবি এম জাকারিয়া ও সদস্য সচিব, নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র হারুনুর রশিদ আজাদ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা হলে রাজপথে নামব: জয়নুল আবদিন
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোক্তার হোসেন পাটোয়ারী, জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবু ইউসুফ মজুমদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিন উল্যাহ বিএসসি, ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
জেলা ও উপজেলা নেতারা তাদের বক্তব্যে ২০১১ সালে সংসদ ভবনের সামনে হরতাল পালনের সময় তৎকালীন বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্য তৎকালীন পুলিশের এডিসি হারুন ও বিপ্লবের নেতৃত্বে নৃশংস ও অমানবিক নির্যাতনের মূল হোতা এডিসি হারুন ও বিপ্লবকে গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: জয়নুল আবদিন
২০১১ সালের ৬ জুলাইয়ের পর প্রতিবছরই সেনবাগ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন রক্তাক্ত জুলাই হিসেবে পালন করে আসছেন, কিন্তু পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবারের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেন।
]]>